বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জমে উঠতে শুরু করেছে নাটোরের চামড়া বাজার

  •    
  • ১১ জুলাই, ২০২২ ২০:০৮

চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এখানকার আড়তে প্রশাসনের নজরদারির মধ্যে নির্ধারিত মূল্যে চামড়া কেনা হয়েছে। এবার কোনো চামড়া নষ্ট হয়নি, ফেলে দিতে হয়নি। এখানকার ব্যবসায়ীরা এখন উত্তর এবং দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি জেলার চামড়া আসার অপেক্ষায় রয়েছেন।’

ঈদের দিন থেকেই নাটোরের চকবৈদ্যনাথ চামড়া বাজারে চাঙাভাব বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে জেলা ও তার আশপাশ এলাকা থেকে আসা চামড়া লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত শুরু করেছেন আড়তদাররা।

তারা বলছেন, সপ্তাহখানেকের মধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে চামড়া আসবে। সেই সঙ্গে ঢাকার ট্যানারিগুলোতে শুরু হবে চামড়া সরবরাহ।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চামড়ার এ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, এখানকার আড়তগুলোতে চামড়া লবণজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। ঈদের দিন বিকেল থেকে এই প্রক্রিয়াজাতকরণ শুরু করেছেন তারা। সারা রাত ধরে চলেছে এই কাজ।

চামড়া আড়তের শ্রমিক মন্টু মিয়া বলেন, ‘রোববার বিকেল থেকে সারা রাত লবণ দিয়ে চামড়া গুদামে রাখছি। এখন আমাদের দম ফেলার সময় নেই।’

এবার ঢাকায় গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ৪৭ থেকে ৫২ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেয়া এই দামে চামড়া কিনেছেন বলে জানিয়েছেন এখানকার আড়তদাররা।

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মৌসুমি ব্যবসায়ী জুয়েল হোসেন বলেন, ‘গত দুই বছর করোনার কারণে চামড়া বিক্রি করে লোকসান হয়েছে। এবার চামড়া প্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা লাভ করেছি।’

আরেক ব্যবসায়ী শহরতলির দত্তপাড়া এলাকার জাকির হোসেন বলেন, ‘এবার অন্তত চামড়া ফেলে দিতে হয়নি। ধীরে ধীরে চামড়ার বাজার চাঙা হয়ে উঠছে।’

এবার লবণের দাম কিছুটা বেশি। প্রতি বস্তা লবণ এক হাজার থেকে ১১০০ টাকা। তাই চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে খরচ এবার অনেকটা বেশি হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

আড়তদার মাসুম হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া কিনেছি। নাটোর জেলা ও আশপাশের এলাকা থেকে যে চামড়া এসেছে, তা লবণজাত করে আড়তে রাখা হয়েছে। এবার লবণের দাম কিছুটা বেশি। তাই চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে খরচ কিছুটা বেশি হচ্ছে।’

আরেক আড়তদার বাবলু হোসেন বলেন, ‘আমি দেড় হাজার পিস গরু এবং এক হাজার খাসির চামড়া কিনেছি। সব লবণজাত হয়ে গেছে। এখন ঢাকার ট্যানারি মালিকদের অপেক্ষায় আছি। তারা আসলে তাদের কাছে চামড়া বিক্রি করব।’

চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এখানকার আড়তে প্রশাসনের নজরদারির মধ্যে নির্ধারিত মূল্যে চামড়া কেনা হয়েছে। এবার কোনো চামড়া নষ্ট হয়নি, ফেলে দিতে হয়নি। এখানকার ব্যবসায়ীরা এখন উত্তর এবং দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি জেলার চামড়া আসার অপেক্ষায় রয়েছেন।’

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চামড়া যাতে সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়, সে জন্য নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে কেউ যেন সিন্ডিকেট তৈরি করে কম দামে চামড়া কিনতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া চামড়া পাচার রোধে নজর রাখছে জেলা পুলিশ।’

এ বিভাগের আরো খবর