বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদ অজুহাতে চিকিৎসকশূন্য হাসপাতালে ক্ষুব্ধ এমপি

  •    
  • ১১ জুলাই, ২০২২ ১৯:৪০

গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, ‘আমার ধৈর্যর বাঁধ ভেঙে গেছে। আগামী বৈঠকে আমি এসব বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইব।’

ঈদুল আজহায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনদের দুর্ভোগের চিত্র দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সদর আসনের সাংসদ গোলাম ফারুক প্রিন্স।

ঈদের পরদিন সোমবার দুপুরে হাসপাতালে রোগীদের খোঁজখবর নিতে গিয়েছিলেন সাংসদ। এ সময় চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি ছাড়াও অপরিচ্ছন্নতা ও খাবারের নিম্নমান নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, ‘পাবনা জেনারেল হাসপাতাল শুধু সদর উপজেলা নয়, পুরো পাবনা জেলার প্রায় ৩০ লাখ মানুষের চিকিৎসায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। বিপদগ্রস্ত হয়েই মানুষ এখানে আসে। আর ঈদের দিনগুলোতে বিপদাপন্ন, সংকটে থাকা মানুষ আরও বেশি অসহায় বোধ করেন। তাদের সাহস দিতে, মনোবল ধরে রাখতে প্রতি ঈদেই আমি হাসপাতালে যাই। কিন্তু এবার হাসপাতালে গিয়ে যা দেখেছি তাতে আমি চরম হতাশ। চিকিৎসক ও হাসপাতাল প্রশাসন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করেছেন।’

সাংসদ আরও বলেন, ‘জরুরি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারি হাসপাতালে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও আমি চিকিৎসকসহ হাসপাতালের কর্মী অধিকাংশকেই অনুপস্থিত দেখেছি। এমনকি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক মীরকে জানিয়ে হাসপাতালে গেলেও তিনি আসেননি। পুরো হাসপাতালে নোংরা, দুর্গন্ধ। ঈদের দিনেও দেয়া হয়েছে নিম্নমানের খাবার। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নিকট থেকে সাধারণ মানুষের প্রতি এমন আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানাব।

গোলাম ফারুক প্রিন্স জানান, সরকার সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে পাবনায় পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। অত্যাধুনিক সিটি স্ক্যান, এক্সরে মেশিন সংযোজন করেছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তা প্রায় সময় বন্ধ ও অকার্যকর থাকে।

তিনি বলেন, ‘আমার ধৈর্যর বাঁধ ভেঙে গেছে। আগামী বৈঠকে আমি এসব বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইব।’

এ বিষয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক মীর বলেন, ‘সকালে হাসপাতালে চিকিৎসকরা রাউন্ড দিয়েছেন। এমপি মহোদয় পরিদর্শনের সময় আমি নামাজের জন্য বাইরে ছিলাম। ডিউটি ডাক্তারদের হাসপাতালেই থাকার কথা, কিন্তু তারা কোথায় ছিলেন আমি সঠিক জানি না। আর ঈদে একদিন উন্নত খাবার দেয়া হয়, সেটি ঈদের দিন দেয়া হয়েছে। সরকারি ছুটির দিন বলে বায়োমেট্রিক উপস্থিতি যন্ত্রেও হাজিরা নেয়া হয়নি। তাই ঠিক কতজন অনুপস্থিত তা সঠিকভাবে জানানো সম্ভব নয়।’

এ বিভাগের আরো খবর