প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী, চট্টগ্রাম মহানগরে কোরবানিতে দুই লাখ পশু জবাই হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত দেড় লাখ চামড়া পেয়েছেন আড়তদাররা। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের নিষেধাজ্ঞার কারণে এই জেলার বিভিন্ন উপজেলায় জবাই করা পশুর চামড়া এখনও শহরে ঢোকেনি।
সিটি করপোরেশনের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, ঈদের চতুর্থ দিন বুধবার থেকে উপজেলার চামড়া শহরে ঢুকবে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন আড়তদার।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার-ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ঈদের দিন ও এর পরের দিনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে শহরে চামড়া প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে দুয়েকজন ছাড়া উপজেলাগুলোর মৌসুমি ব্যবসায়ীরা তাদের পশুর চামড়া এখনও শহরে আনেনি। তবে বুধবার থেকে উপজেলার চামড়া শহরে আসা শুরু হবে।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতেই ঈদের তিন দিন উপজেলার চামড়া শহরে আনার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। কারণ গত বছর দেখা গেছে, গ্রাম থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া নিয়ে এসে বিক্রি করতে না পেরে বা পচে যাওয়ায় রাস্তায় ফেলে চলে গেছেন। এবার যেন এটা না হয় তাই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এবার কেউ যদি এটা করে তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তবে ইতোমধ্যেই মহানগর ছাড়াও উপজেলাগুলোতে জবাই করা পশুর চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চামড়া সংরক্ষণ মনিটরিং কমিটির সভাপতি যুগ্ম সচিব মো. নূরুল্লাহ নূরী।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘শহরেরগুলো তো প্রথম দিনই আড়তদাররা কিনে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করেছেন। গ্রামে যেগুলো আছে, সেগুলোও লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করছেন ব্যবসায়ীরা৷ এসব চামড়া ১৫ দিন পর ট্যানারিতে যাবে। আমরা গতকাল থেকে মনিটরিং করছি, সবকিছু সুন্দরভাবেই হচ্ছে।’
তবে এবার গরুর দাম বেশি হওয়ায় চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার-ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মুসলিম উদ্দিন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত চামড়া পেয়েছি দেড় লাখের মতো। আমরা আসলে আরেকটু বেশি আশা করেছিলাম। ঈদের আগে হঠাৎ পশুর দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে কোরবানি দেয়নি। তাই এটা হতে পারে। এবার আমাদের সব মিলিয়ে চার লাখ-সাড়ে চার লাখ চামড়া পাব বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু পশু কোরবানি কম হওয়ায় সেটা সাড়ে তিন লাখের মতো হতে পারে।’