নোয়াখালীর হাতিয়ায় ‘প্রেমিকার’ বাড়িতে ছাত্রলীগ নেতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
২২ বছরের রিয়াদ উদ্দিন শাকিল হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৫ বছরের নুরুল আমিন।
হাতিয়া থানার পরিদর্শক তদন্ত কাঞ্চন কান্তি দাশ নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শাকিল বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে তার প্রেমিকার দুই ভাই ৩০ বছরের মো. শরিফ, ২৫ বছরের মো. সবুজ এবং বাবা নুরুল আমিনসহ ছয়জনের নামে মামলা করেছেন। অভিযুক্তরা হাতিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
উপজেলার তালুক সুপার বাজারের পাশে নুরুল আমিনের বাড়ির বাগানে শনিবার রাত ১টার দিকে নির্যাতনের ওই ঘটনা ঘটে।
মামলার বরাতে পরিদর্শক তদন্ত কাঞ্চন কান্তি বলেন, ‘শাকিলের সঙ্গে মামলার ১ নম্বর আসামি শরিফের বোনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে শরিফ একাধিকবার শাকিলকে হত্যার হুমকি দেন। ঘটনার দিন শাকিল উপজেলা সদরের ওছখালী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে শরিফসহ কয়েকজন যুবক তাকে গতিরোধ করে চোখ বেঁধে বাড়িতে নিয়ে যান।
‘পরে বাড়ির সামনে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। মামলার প্রধান আসামি শরিফের বাবা ৬ নম্বর আসামি নুরুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ১ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, প্যান্ট ও লাল রঙের টিশার্ট পরা এক যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করছেন কয়েকজন। এ সময় ওই যুবক বারবার নিজেকে ছেড়ে দেয়ার আকুতি জানালেও কেউ তা বিবেচনা করেননি।
ছাত্রলীগ নেতা শাকিল জানান, হাতিয়া দ্বীপ কলেজে একই ক্লাসে পড়ার সুবাদে সহপাঠীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু মেয়েটির ভাই শরিফ ও তার পরিবার তা মেনে নেয়নি। এ নিয়ে তাকে একাধিকবার হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
এই ঘটনার জেরে মেয়েটির পরিবার শনিবার রাতে শাকিলকে বাজার থেকে ফেরার পথে ধরে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে। তারা তাকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করেছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্বজনরা।