‘ফেসবুক-ইউটিউবে দেখেছি, এবার সরাসরি ভাঙ্গা মোড়ের চৌরাস্তার সৌন্দর্য দেখতে আইছি। এখানে এসে তো অবাক হয়ে যাচ্ছি। কী সুন্দর সড়ক। রাস্তা এত সুন্দর হতে পারে না দেখলে বিশ্বাস হতো না। আজকে সুযোগ পেয়েছি, এ জন্যই চলে এসেছি। দেখলাম, বেশ ভালো লাগল।’
ফরিদপুরের ভাঙ্গা চৌরাস্তা মোড়ের সৌন্দর্য দেখে এভাবেই বর্ণনা করছিলেন মাদারীপুরের সদর থানা থেকে আসা জয়নাল আবেদীন।
রোববার ঈদুল আজহার দিন ও পরের দিন সপরিবারে অনেকেই ঘুরতে এসেছেন ভাঙ্গায়।
জয়নাল আবেদীন ছাড়াও ভাঙ্গা চার রাস্তা মোড়ে মানুষের ভিড় দেখা যায় বিকেল থেকেই। দলে দলে কাছে-দূরের মানুষ ভাঙ্গা আসছেন দেখার জন্য।
গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর থেকে এসেছেন তুহিন দম্পতি। ঈদের দিন দুপুর পর্যন্ত সাংসারিক কাজ সেরে বিকেলে ঘুরতে গিয়েছিলেন তারা।
বাংলাদেশের প্রথম ঢাকা-ভাঙ্গা ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই ভাঙ্গায় বাড়ছে মানুষের ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
নিজস্ব গাড়ি থাকায় সহজেই পুরো ভাঙ্গা গোল চত্বর অল্প সময়ে ঘুরে দেখেছেন।
তুহিন বলেন, ‘ভাঙ্গার সৌন্দর্য দেখতে এসেছি। বেশ ভালোই লাগছে। তবে এখানে ড্রোন দিয়ে দেখতে বেশি ভালো লাগে। তবে আমরা যারা দেখতে এসেছি, তাদের জন্য কাছাকাছি বসার কোনো জায়গা নেই। এখানে বাচ্চাদের জন্য একটা বিনোদনের জায়গা হলে বেশ ভালো হয়।’
ভাঙ্গা চৌরাস্তা ঘুরে দেখা যায়, ঈদের এই ছুটিতে মানুষের বেশ ভিড়।
দর্শনার্থীদের ভিড় দেখে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী ফুসকা-চটপটির দোকান।
গত ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর ২৬ জুন থেকে এই সড়কে বেড়ে যায় যানবাহনের পরিমাণ।
১ জুলাই থেকে টোল আদায় শুরু হয় বাংলাদেশের প্রথম ঢাকা-ভাঙ্গা ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়েতে। কিন্তু তারপরও ভাঙ্গার সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই বাড়ছে মানুষের ভিড়।