বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে সতর্ক বিজিবি

  •    
  • ১১ জুলাই, ২০২২ ১৭:৫৯

চামড়াবাহী কোনো যানবাহন সীমান্ত এলাকায় যাতে যেতে না পারে, সে জন্য সীমান্তবর্তী বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছে বিজিবি। সীমিত করা হয়েছে রাতে সীমান্তবর্তী এলাকায় লোকজনের চলাচলও।

ঈদুল আজহায় দেশে বিপুলসংখ্যক পশু কোরবানি করা হয়। যেমন সরকারি হিসাবে এবার সারা দেশে কোরবানি হয়েছে ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি পশু। এই সময় দেশে সবচেয়ে বেশি কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হয়।

দেশে দাম তলানিতে থাকায় সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচারের প্রবণতা রয়েছে অসাধু ব্যবসায়ী ও পাচারকারীদের মধ্যে। ঈদুল আজহায় এসব সিন্ডিকেট তৎপর হয়ে ওঠে। তাই এ পাচার ঠেকাতে যশোরের বেনাপোল-শার্শা সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

ইতোমধ্যে সীমান্তের অনেক পয়েন্টে বাড়ানো হয়েছে বিজিবির নজরদারি। নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে বন্দর এলাকাসহ স্থল ও রেলপথও।

চামড়াবাহী কোনো যানবাহন সীমান্ত এলাকায় যাতে যেতে না পারে, সে জন্য সীমান্তবর্তী বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছে বিজিবি। সীমিত করা হয়েছে রাতে সীমান্তবর্তী এলাকায় লোকজনের চলাচলও।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বেনাপোল ও শার্শার পুটখালী, গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট, রুদ্রপুর, দৌলতপুর, গাতিপাড়া, ঘিবা, সাদিপুর, বড় আঁচড়া, কাশিপুর, রঘুনাথপুর শিকারপুর, শালকোনা এবং শাহজাদপুর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।

চামড়া ব্যবসায়ীদের মতে, ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের পশুর চামড়ার গুণগত মান উন্নত। তাই দেশের চামড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ভারতে। কোরবানির সময়ে খুচরা ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চামড়া কিনে মজুত করে রাখেন। স্থানীয় বাজারে চামড়া না তুলে নিজস্ব কায়দায় তা সংরক্ষণ করেন তারা। পরে তা চোরাইপথে পাচার করেন ভারতে।

বেনাপোলের চামড়া ব্যবসায়ী মনির হোসেন, বাগআঁচড়ার ইদ্রিস আলী সাহাজি, জামতলার নজরুল ইসলাম শাহাজি ও নাভারনের ইয়াকুব আলীর আশঙ্কা- ঈদের পর সীমান্তপথে চামড়া পাচার বেড়ে যেতে পারে।

বাগআঁচড়ার চামড়া ব্যবসায়ী শেখ সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পেশাদার চামড়া ব্যবসায়ীদের পুঁজি সংকটের সুযোগ নেয় চোরাকারবারিরা। পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে তারা বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে চামড়া সংগ্রহ করে। পরে সুযোগ বুঝে পাচারকারীদের কাছে তুলে দেয়।’

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিকী বলেন, ‘কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে বিজিবি বেনাপোল ও শার্শার বিভিন্ন সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কে রয়েছে। যশোরের যে সমস্ত সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচারের সম্ভাবনা থাকে, সে সমস্ত এলাকা বেশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। বিশেষ করে রাতে টহল ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে।’

পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই সতর্কতা জারি থাকবে বলেও জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর