যশোরে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
নিউজবাংলাকে সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপন কুমার সরকার।
তিনি জানান, আসামিদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। প্রয়োজনে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ওই কিশোরী যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রোববার মামলা করে ওই কিশোরী।এজাহারে বলা হয়েছে, শহরের বউ বাজার এলাকার একটি কলেজে পড়ুয়া ওই কিশোরীর সঙ্গে স্থানীয় মো. আকাশের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শনিবার সন্ধ্যায় আকাশ তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়।
দুই বন্ধু তাওসিন বিল্লাল ও মো. আরাফাতকে সঙ্গে নিয়ে আকাশ মেয়েটিকে নিয়ে বিমান অফিস মোড়ে যুবলীগ নেতা রফিকুলের অফিসে যায়। সেখানে রফিকুলের দেহরক্ষী পুরাতন কসবা কাজীপাড়ার বছির আহম্মেদের ছেলে মো. শহীদ মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
আরাফাত ও অন্যান্যরা ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটি চিৎকার করে। পরে আকাশ, আরাফাত, বিল্লাল ওই মেয়েকে রেখে আসতে গেলে টহল পুলিশের জেরার মুখে পড়ে। এ সময় মেয়েটি পুলিশকে সব কথা খুলে বলে। পরে আকাশ, আরাফাত ও বিল্লালকে আটক করে পুলিশ। আটকদের তথ্যমতে রোববার দুপুরে রফিকুল ইসলামকে কাঁঠালতলা থেকে আটক করা হয়। পরে কিশোরীর করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।