ঈদের পরের দিনও রাজধানীর পুরান ঢাকায় চলছে পশু কোরবানি। দ্বিতীয় দিন পশু কোরবানির কারণ হিসেবে পুরান ঢাকার বাসিন্দারা বলছেন, কসাইয়ের অভাবে তারা ঈদের পরদিন পশু কোরবানি করছেন।
পুরান ঢাকায় তাঁতীবাজার, নারিন্দা ও ধোলাইখাল এলাকায় সোমবার গিয়ে দেখা গেছে, সকালে অনেকেই পশু কোরবানি করছেন।
ঈদের দ্বিতীয় দিনে কোরবানির বিষয়টি স্পষ্ট করে তুলে ধরলেন ধোলাইখালের ব্যবসায়ী মো. অমিত। তিনি নিজেও ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি করবেন বলে নিউজবাংলাকে জানালেন। তিনি বলেন, ‘মূলত কসাই সংকটের কারণেই পুরান ঢাকার মানুষ ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি করেন। এ ছাড়া ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে ঈদের আগের রাতে পরিশ্রম করে অনেকেই ক্লান্ত থাকেন। এ কারণে ঈদের দিন অনেকেই কোরবানি করেন না। এ দুটোই মূল কারণ।’
একই এলাকার ব্যবসায়ী সাজ্জাদুল করিম। তিনি ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি করছেন। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পশু কাটার সরঞ্জামাদি ও কসাইয়ের অভাবেই ঈদের পরের দিন কোরবানি করছি।’
তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন কসাই সময় কম দিতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে কসাই পাওয়াই যায় না। তাই অনেকেই ঈদের দ্বিতীয় দিন পশু কোরবানি করেন।
‘আমি ব্যবসা করি, তাই গরু কেনার সময় বের করতে পারিনি। ঈদের আগের দিন গরুটা কিনে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। তাই ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি করা।’
ধোলাইখালের ব্যবসায়ী আকাশ। তিনিও নিউজবাংলাকে বলেন, ঈদের দিন কসাই পাই না। আর পেলেও ভালোভাবে তারা কাজ করতে পারে না। কাজের ফিনিশিং ভালো হয় না। কারণ তাদের ওপরে অনেক চাপ থাকে। এ কারণেই ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি করছি।
‘ঈদের পরের দিন পশু কোরবানি করলে কসাই ভালোভাবে কাজ শেষ করে। পশু কাটার কাজটি হয় গোছালো। এ কারণেই পুরান ঢাকার অনেকেই ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানির জন্য বেছে নেন।’
তাঁতীবাজার এলাকায় দেখা গেল একই চিত্র। সেখানকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘কালকে (ঈদের দিন) আরাম করছি। আজকে কোরবানি দিলাম। ইসলামের নিয়ম আছে তিন দিন কোরবানি করা যায়।’