ঈদুল আজহার প্রথমার্ধ অনেকের কাটে ব্যস্ততায়। কোরবানির পশু জবাই, মাংস কাটা, বিলি করা এবং রান্নায় দুপুর গড়িয়ে যায় নগরবাসীর। এরপর পাওয়া যায় কিছুটা ফুরসত। আর এ সময়কে আনন্দময় করতে অনেকেই ঘুরে বেড়ান বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে।
রাজধানীর মিরপুর থেকে পরিবার নিয়ে হাতিরঝিলে এসেছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা মারুফ-উর-রশিদ। কোরবানির মাংস কাটাকাটির পর বিকেলে হাতিরঝিলের কুটুম নামের একটি রেস্টুরেন্টে পরিবার নিয়ে খেতে এসেছেন।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সারা দিন খুব ব্যস্ততায় কেটেছে। বিকেলে তাই পরিবার নিয়ে একটু বের হয়েছি।’
শিশুদের জন্য রঙিন বেলুন নিয়ে হাতিরঝিলে আসেন বেলুন বিক্রেতা রুবেল। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন আবুল খায়ের। ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে এসেছেন হাতিরঝিলে। অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, পারিবারিক কারণে এবার ঈদে বাড়ি যেতে পারেননি। তাই ছেলের আবদার রাখতে এখানে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, ঘুরতে যাওয়ার জন্য হাতিরঝিলের পরিবেশ খুবই ভালো। এবার কোরবানি দেয়া হয়নি তাই ব্যস্ততাও কম।
মা-বাবার সঙ্গে ঘুরতে এসেছেন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আদনান। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাসা বাড্ডা, কাছাকাছি হওয়ায় প্রায়ই আমরা সবাই এখানে ঘুরতে আসি।’
অনেকেই হাতিরঝিলের লেকপাড়ের গোল চত্বরে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
বিকেল হতেই মানুষের উপস্থিতি যে বাড়বে এটা জানতেন বেলুন বিক্রেতা রুবেল। তাই শিশুদের জন্য রঙিন বেলুন নিয়ে হাতিরঝিলে আসেন তিনি। তবে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই হতাশা তার কণ্ঠে।
বলেন, কোরবানির ঈদ বলে প্রথম দিনে তেমন মানুষ আসেনি হাতিরঝিলে। আশা করছি কাল হাতিরঝিলে অনেক মানুষ আসবে, বেচাবিক্রিও ভালো হবে।
সেলিম নামের হাতিরঝিলের একটি রেস্তোরাঁর ওয়েটার জানান, আজকে ভিড় অনেক কম। তাদের আশা করছি কাল ভিড় বাড়বে, বেচা-বিক্রিও জমে উঠবে।
অনেকেই হাতিরঝিলের লেকপাড়ের গোল চত্বরে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। কেউ বা আবার রাস্তার পাশের খাবারের দোকানগুলোতে বসে নানা পদের খাবার খাচ্ছেন।
ইন্ডিয়ান জনপ্রিয় খাবার দোসা, চিকেন, কাবাব কম দামে প্যাকেজ আকারে বিক্রি হচ্ছে এখানে। অনেকে আবার হাতিরঝিলের ভেতর লেকের মধ্যে ওয়াটার ট্যাক্সিতে প্রিয়জনকে সঙ্গী করে ঘুরছেন।