কোরবানির বর্জ্য অপসারণে কার্যক্রম শুরুর চার ঘণ্টার মধ্যেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মোট বর্জ্যের ৮০ ভাগ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণের দাবি করেছে।
রোববার বেলা ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে একযোগে কাজ শুরু করে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন জানিয়েছেন, ঢাকা উত্তরের ১১টি ওয়ার্ডে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ শেষ হয়েছে।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তিনটি ওয়ার্ড থেকে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। দক্ষিণের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের জানিয়েছেন, সার্বিকভাবে প্রায় ৬০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে।
বর্জ্য অপসারণ সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে ঢাকা দক্ষিণে স্থাপন করা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। রোববার বেলা ২টার পর থেকে সেখানেই ঘণ্টাখানেক সময় কাটিয়েছেন দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি: নিউজবাংলা
দক্ষিণ বাড্ডায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বেলা ২টার দিকে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করতে দেখা গেছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. সবুজ বলেন, ‘আজকের মধ্যেই সব ময়লা সাফ করে ফেলব।’
অবশ্য নাখালপাড়ায় শতভাগ বর্জ্য অপসারণের কথা বলা হলেও বিকেলে এলাকায় গিয়ে বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই এলাকার পোস্ট অফিস, বড় মসজিদ গলিতে বর্জ্য পড়েছিল। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বিকেলে সেগুলো অপসারণের কাজ করছিলেন।
এ প্রসঙ্গে উত্তর সিটি করপোরেশন পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক রফিউল হাসান বলেন, ‘না, আমি এই ঘোষণা দেইনি (শতভাগ বর্জ্য অপসারণের)। আমাদের কাজ এখনো চলমান।’
বিশ্বের মুসলিম প্রধান বিভিন্ন দেশে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির ব্যবস্থা থাকলেও দেশে এটি করা যাচ্ছে না। সিটি করপোরেশন কয়েক বছর ধরে নির্ধারিত এলাকায় কোরবানির ব্যবস্থা করলেও খুব বেশি সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না নগরবাসীর পক্ষ থেকে।
এখনও বাড়ির পাশে সড়কে বা এখানে-সেখানে পশু কোরবানি করতেই আগ্রহী নগরবাসী। এমনকি কোরবানির পরে নিজেরা উদ্যোগী হয়ে ধুয়ে ফেলা বা জীবাণুনাশক ছিটানোর ক্ষেত্রেও উদ্যোগের অভাব স্পষ্ট। পশুর বর্জ্যের স্তূপ যেখানে-সেখানে ফেলে রাখার দৃশ্য এখনও চোখে পড়ে।
এ কারণে প্রতি বছরই সিটি করপোরেশনের বর্জ্য অপসারণে আলাদা পরিকল্পনা থাকে। কয়েক বছর আগে তিন থেকে চার দিন লেগে গেলেও বছর পাঁচেক ধরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিংহভাগ বর্জ্য অপসারণ করে ফেলা হচ্ছে।
এবার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা আছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের। আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কোরবানির দ্বিতীয় দিনে সব পশু জবাই কাজ শেষ করার অনুরোধ করেছে।
বর্জ্য অপসারণ সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে ঢাকা দক্ষিণে স্থাপন করা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। রোববার বেলা ২টার পর থেকে সেখানেই ঘণ্টাখানেক সময় কাটিয়েছেন দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।