কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ শুরু করেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। বেলা ৩টা থেকে পাড়া-মহল্লা ও অলিগলি থেকে বর্জ্য সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জে ঈদের দিন যারা গরু কোরবানি দেননি, তারা গরু জবাই দেবেন সোমবার। তাই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য পরিষ্কার করে নগরীকে দুর্গন্ধমুক্ত করা হবে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার কোরবানির জন্য কোনো স্থান নির্ধারণ করেনি সিটি করপোরেশন। তবে বাড়ির আঙিনা, উন্মুক্ত স্থানে পশু জবাইয়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। তবে তা মানেননি অনেকে। সড়কেই পশু জবাই করা হয়েছে।
নগরীতে ঘুরে দেখা যায়, নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়ক ছাড়াও কলেজ রোড, চাষাঢ়া, উকিল পাড়াসহ বিভিন্ন সড়কে পশুর গোবর, রক্ত, হাড়সহ বিভিন্ন বর্জ্য ছড়িয়ে রয়েছে। বর্জ্যের দুর্গন্ধে সাময়িক দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারীরা।
সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আলমগীর হীরন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নগরীর সিদ্ধিরগঞ্জ, শহর ও কদমরসুল অঞ্চলের ২৭টি ওয়ার্ড সম্পূর্ণ পরিষ্কার করার জন্য ১ হাজার ৬০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন। পরিচ্ছন্নতার কাজে সিটি করপোরেশনের ১ হাজার ১০০ কর্মীর সঙ্গে আরও ৫০০ কর্মী যুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নির্দেশনা ছিল, কোরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পুঁতে রাখতে হবে। আর গোবর যেন ড্রেনে না ফেলা হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমেও এসব নির্দেশনা নগরবাসীকে দেয়া হয়েছে। পাড়া-মহল্লায় মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু অনেকে সড়কে ও ড্রেনে ফেলছেন। এতে করে কর্মীদের কাজ বেড়ে যাচ্ছে। তবুও আমরা চেষ্টা করছি।’