বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকা ফাঁকা

  •    
  • ১০ জুলাই, ২০২২ ১৪:০৫

সকালের দিকে ব্যক্তিগত কিছু যানবাহন ছাড়া রাজধানীতে চলেছে একেবারে কমসংখ্যক গণপরিবহন। সড়কে মাঝেমধ্যে দুই-একটি বাস দেখা যাচ্ছে। যে বাস চলছে, তাতে যাত্রী নেই বললেই চলে।

যানজট, কোলাহল, মোড়ে মোড়ে গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশার জট; সাধারণত এমনই চিত্র রাজধানী ঢাকার নিত্যসঙ্গী। রোববার ঈদের দিনে সে চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। রাস্তায় নেই কোনো যানজট, মোড়ে মোড়ে নেই গাড়ি, রিকশার জটলা, নেই ট্রাফিক সিগন্যালের বিধিনিষেধ। একদম ফাঁকা। বলা যায়, এ এক অচেনা ঢাকা।

রোববার ঈদুল আজহার দিনে রাজধানীর মগবাজার, বাংলামটর, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ফার্মগেট, বেইলি রোড, কাকরাইল, সেগুনবাগিচা, বাড্ডা, গুলশানসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানী মূলত ফাঁকা হতে শুরু করে গত শুক্রবার থেকে। অফিস বন্ধ হওয়ায় এ দিন অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটতে থাকেন নাড়ির টানে। গতকাল শনিবার ঢাকার বেশকিছু এলাকায় যানজট তৈরি হয় গরুর হাটের কারণে। তবে ঈদের দিনে এ চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।

সকালের দিকে ব্যক্তিগত কিছু যানবাহন ছাড়া রাজধানীতে চলেছে একেবারে কমসংখ্যক গণপরিবহন। সড়কে মাঝেমধ্যে দুই-একটি বাস দেখা যাচ্ছে। যে বাস চলছে, তাতে যাত্রী নেই বললেই চলে।

রাস্তায় রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কারের সংখ্যাও খুব কম।

রাজধানীর মৎস ভবন এলাকায় ফাঁকা রাস্তা। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা

মগবাজার থেকে সায়দাবাদগামী একটি বাসের চালক সেলিম রেজা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যাত্রী কম হইলেও ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি চালাইয়া আরাম পাইতাছি।’

একই ধরনের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন মোটরবাইকে রাইড শেয়ার করা সোলায়মান হোসেন। তিনি বলেন, ‘সাধারণত কল্যাণপুর থেকে মগবাজার আসতে কমপক্ষে দেড় ঘণ্টার মতো লেগে যায়। আজ এ পথ এসেছি মাত্র ২০ মিনিটে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল থেকেই মূলত ঢাকা ফাঁকা হতে শুরু করে। আজ আরও বেশি ফাঁকা লাগছে। সব রাস্তাই একদম খালি। রাস্তায় মানুষের আনাগোনাও একদমই নাই বললে চলে।’

শুধু গাড়ির চালক নয়, ঈদের দিনে অলস সময় পার করছেন ট্রাফিক পুলিশও। রাস্তা ফাঁকা থাকায় বেশির ভাগ সিগন্যালের ট্রাফিক পুলিশের কাজ নেই। তাই তারাও নিতে পারছেন অনেকটাই বিশ্রাম। অবশ্য তারপরও তাদের থাকতে হচ্ছে নির্দিষ্ট পয়েন্টের পুলিশ বক্সে।

চির ব্যস্ত রাজধানীর মতিঝিলের ব্যাংকপাড়াও ফাঁকা। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা

মগবাজার মোড় সিগন্যালের পুলিশ বক্সে কথা হয় ট্রাফিক পুলিশ ইসমাইলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকেই গাড়ির তেমন চাপ নেই। তাই বলা যায় এক ধরনের অলস সময় পার করছি।’

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঈদের নামাজ আদায় শেষে পশু কোরবানিতে ব্যস্ত রয়েছেন মুসল্লিরা। গুটিকয়েক কিশোরকে মূল সড়কের পাশে চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও কিছু কিছু মিষ্টি ও খাবারের দোকান এখনও খোলা।

বাংলামটর মোড়ে কথা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত খায়ের শেখের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বোনের বাসায় দুপুরে দাওয়াত রয়েছে। তাই বের হয়েছি। কিন্তু এখন কোনো গণপরিবহন পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে রিকশায় করে রওনা দিচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ রকম পরিবেশ ঢাকায় খুব কমই দেখা যায়। কোথাও কোনো কোলাহল নেই। ঢাকা একদমই ফাঁকা। এ যেন অন্যরকম অনুভূতি।’

এ বিভাগের আরো খবর