বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার দক্ষিণের পথে নেই লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস

  •    
  • ৯ জুলাই, ২০২২ ২০:৪৮

বরিশালগামী সুন্দরবন লঞ্চের ম্যানেজার মোফাজ্জল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যাত্রী কম থাকায় সকালবেলায় বরিশালের দুটি লঞ্চ ছেড়েছে। একটু ভিড় ছিল। বিকেলে শিডিউলের বাইরেও লঞ্চ ছেড়েছে। যাত্রীর চাপের ওপর নির্ভর করে রাতে আরও লঞ্চ যাবে কি না।’

পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে দক্ষিণের পথে লঞ্চে যাত্রীর যে খরা, ঈদযাত্রাতেও তার ছাপ রয়ে গেল। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে যাত্রীর চাপ আছে বটে, ঈদের আগে আগে যে ভিড় তা দেখা যায়নি।

ঈদের আগের দিন শনিবার সদরঘাটে গিয়ে জানা গেল এবার ঈদ উপলক্ষে কোনো স্পেশাল সার্ভিস চালুই হয়নি।

এমনিতে খালি চোখে দেখলে যাত্রীর চাপ ও ভিড় দেখা যায়। কেবল টার্মিনাল নয়, ইংলিশ রোড থেকেই সদরঘাট পর্যন্ত সড়ক লোকে লোকারণ্য। এই পথে কোনো গাড়ি চলা সম্ভব নয়।

তবে সদরঘাটে যে ঈদের স্বাভাবিক ভিড় হয়নি, সেটি ডলার কোম্পানির ২৪টি লঞ্চের মালিক ও যাত্রী পরিবহন সংস্থার সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালামের বক্তব্যে স্পষ্ট। তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষে তারা যেসব স্পেশাল সার্ভিস চালু করেন, সেটি এবার হয়নি।

শনিবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ জাহাজ রয়েছে। যাত্রীর চাপ হলেই আমরা স্পেশাল লঞ্চ চালু করব। নিয়মিত লঞ্চ যাওয়ার পর এসব লঞ্চ ঘাট থেকে ছাড়া হবে। টিকিট ফোনে যোগাযোগ করে কাটতে পারবে কিংবা সরাসরিও কাটতে পারবে। যাত্রীরা যাতে দুর্ভোগে না পড়ে সে জন্য আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে লঞ্চের ব্যবস্থা রেখেছি।’

রাতে তিনি নিশ্চিত করেন, স্বাভাবিক সময়ের নির্ধারিত লঞ্চের বাইরে সেই স্পেশাল সার্ভিস ঢাকা থেকে আর ছেড়ে যায়নি।

বরিশালগামী সুন্দরবন লঞ্চের ম্যানেজার মোফাজ্জল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যাত্রী কম থাকায় সকালবেলায় বরিশালের দুটি লঞ্চ ছেড়েছে। একটু ভিড় ছিল। বিকেলে শিডিউলের বাইরেও লঞ্চ ছেড়েছে। যাত্রীর চাপের ওপর নির্ভর করে রাতে আরও লঞ্চ যাবে কি না।’

তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় আগের তুলনায় যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা কম। তবে যানজট শুরুর পর যাত্রী বাড়তে থাকে। সড়কপথে নানা দুর্ভোগ ও ভোগান্তির কথা চিন্তা করে ঈদের আগ মুহূর্তে শেষ দিনে দক্ষিণবঙ্গের অনেকেই বাড়ি ফিরছেন লঞ্চে।’

যে লঞ্চগুলো যাচ্ছে, সেগুলোতে যাত্রীর ভিড় অবশ্য ছিল। তবে অন্যান্য বছরের মতো উপচে পড়া ভিড় ছিল না।

ঢাকার উত্তরা থেকে আসা ফাহমিনা জামান রিনথি অবশ্য ভাবেননি এত যাত্রী হবে। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘পরিবার নিয়ে ১০ বছর যাবৎ গ্রামে ঈদ করে আসছি। এখন আমার স্বামী ব্যবসা করেন। তাই ঈদের এক দিন আগে বাড়িতে যেতে হচ্ছে। বাসের টিকিট পাইনি। তাই লঞ্চে যাচ্ছি। ভেবেছিলাম ভিড় কম হবে, কিন্তু এসে দেখি অনেক মানুষ।’

যাত্রাবাড়ী থেকে আসা পটুয়াখালীর বগাগামী যাত্রী সেতু রহমান বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বাসে ভিড় বেশি। ভেবেছিলাম লঞ্চে লোকজন কম হবে, একটু আরামে বাড়িতে যাব। কিন্তু এখানে এসে ভালোই ভিড় দেখলাম।’

মারুফ শিকদার বলেন, ‘বাসে সিট না পেয়ে সদরঘাটে চলে এসেছি। লঞ্চে একটু আরাম করে বাড়ি যেতে পারব ভেবেই ঘাটে এসেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর