বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফেরিঘাটের যে গল্পটি এখন ইতিহাস

  •    
  • ৯ জুলাই, ২০২২ ২০:৩৪

লৌহজংয়ের সুরুজ মিয়া বলেন, ‘গতবার এই সময় পরিবার নিয়ে ঈদ করতে গিয়ে ঘাটে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছিল। তবে এবার নির্বিঘ্নে পারাপার হয়েছি। সেতু হওয়ায় লঞ্চে যাত্রী ছিল কম।’

রাজধানী ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে যেতে দিতে হয় পদ্মা পাড়ি। বহু বছর ধরে পদ্মা পার হতে মানুষের একমাত্র ভরসা ছিল ফেরি কিংবা নৌপথ। এই ফেরিকে কেন্দ্র করেই আছে এপার কিংবা ওপারে যাওয়া মানুষের নানা দুর্ভোগের গল্প।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে এই রুটে চলাচল না করেও সারা দেশের মানুষ জানে কী অসহনীয় ভোগান্তির শিকার হতে হয় ফেরিতে পদ্মা পার হওয়া যাত্রীদের। বিশেষ করে, প্রতি বছর দুই ঈদের ছুটিতে।

খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। দিনটি ছিল গত বছরের ৮ মে। চার দিন পরেই ঈদ হলেও করোনার কারণে শিমুলিয়া ঘাট থেকে লঞ্চ, সিবোট ও ফেরি চলাচল ছিল বন্ধ। কিন্তু ঈদে বাড়ি ফেরার জন্য ব্যাকুল হয়ে ছিলেন লাখো মানুষ।

সেদিন দুপুরের আগে হঠাৎ করেই ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। খবরটি চাউর হতেই স্রোতের মতো মানুষ আসতে থাকেন মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটের দিকে। যে যেভাবে পারে আসতে থাকেন। উদ্দেশ্য পদ্মা নদী পাড়ি দেয়া।

দুপুরের পর ঘাটের ফেরিগুলো ডালা খুলে দিলে হুমড়ি খেয়ে পড়েন হাজারও মানুষ। অনেকে পড়ে গিয়ে হন পদদলিত। তিন নম্বর রো রো ফেরিঘাটে বেশ কিছুক্ষণ ধরে দেখা যায় এই চিত্র।

অনেকে ফেরির লোহার রশি বেয়েই টার্মিনালে ওঠার চেষ্টা করতে থাকেন। এই চেষ্টা করতে গিয়ে কেউ কেউ পানিতেও পড়ে যান। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কিছু ভিডিওতে এসব চিত্র দেখা যায়।

মাত্র এক বছরের ব্যবধানেই পদ্মা পার হওয়ার এই গল্পটি এখন বদলে গেছে। এই ঈদের মৌসুমেও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটসহ পদ্মার বিভিন্ন ফেরিঘাটে খাঁ খাঁ শূন্যতা। যাত্রী পারাপারে নেই কোনো ব্যস্ততা।

এমনকি ঈদের ছুটি ছাড়াই সাধারণ দিনগুলোতেও এসব ফেরিঘাটে যে ব্যস্ততা দেখা যেত, তার ছিটেফোঁটাও নেই এখন সেখানে। পদ্মা সেতু রাতারাতি বদলে দিয়েছে এই চিত্র।

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সুরুজ মিয়া বিয়ে করেছেন মাঝিরকান্দি ঘাটের কাছে। পদ্মা সেতু দিয়ে গেলে অনেক ঘুরতে হয় তাকে। তাই এবারও নদী পার হয়েছেন লঞ্চে। তিনি বলেন, ‘গতবার এই সময় পরিবার নিয়ে ঈদ করতে গিয়ে ঘাটে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছিল। তবে এবার নির্বিঘ্নে পারাপার হয়েছি। সেতু হওয়ায় লঞ্চে যাত্রী ছিল কম।’

শিমুলিয়া স্পিডবোট ঘাটের ইজারাদার হাবিব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গেল ঈদের আগে ৫ থেকে ৭ হাজার যাত্রী প্রতিদিন স্পিডবোটে নদী পারাপার হয়েছিল। প্রতিটি স্পিডবোট তিন থেকে সাতবার ট্রিপ মেরেছে। কিন্তু এবার হাজার যাত্রী পার করতে পারিনি। স্পিডবোট দুটি ট্রিপ মেরেছে কি না সন্দেহ।’

এ বিভাগের আরো খবর