বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১২ লাখ চেয়ে অর্ধেকে বিক্রি যুবরাজকে

  •    
  • ৯ জুলাই, ২০২২ ১৮:২৬

রাজধানীর উত্তরার বাসিন্দা ইব্রাহীম মিয়া নামে এক কেমিক্যাল ব্যবসায়ী কিনে নেন যুবরাজকে।

পেশায় দলিল লেখক নরসিংদীর ইকবাল হোসেন স্বাধীন নিজ বাড়ির আঙিনায় গড়ে তোলেন পশুর খামার। এই খামারেই তিন বছর আগে জন্ম নেয়া একটি বাছুরের নাম রাখা হয় ‘যুবরাজ’। সেই যুবরাজ এখন ৩৬ মণ ওজনের ষাঁড়।

এবার কোরবানির হাটে যুবরাজকে তোলা হলে কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পেয়েই তাকে বিক্রি করতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বাধীন।

নরসিংদী জেলা প্রাণিসম্পদের তথ্য অনুযায়ী, ঈদ সামনে রেখে নরসিংদীর ক্রেতাদের দৃষ্টি কেড়েছিল সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামে স্বাধীনের লালন-পালন করা বিশালদেহী যুবরাজ। ষাঁড়টিকে বড় করতে সহযোগিতা করেছিল ভেটেরিনারি সার্জন টিম। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা যুবরাজের দাম চাওয়া হয়েছিল ১২ লাখ টাকা।

ষাঁড়টির মালিক ইকবাল হোসেন স্বাধীন জানান, রোকেয়া খালেক অ্যাগ্রো নামে নিজের খামারে ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী থেকে জন্ম হয়ছিল যুবরাজের। তিন বছর ধরে বিশেষ যত্নে বড় করা হয়েছে পশুটিকে। রং আর দৈহিক গঠনেও অভিনবত্ব ছিল যুবরাজের।

ফিতার মাপে যুবরাজের ওজন ১ হাজার ৪৭৩ কেজি। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতা ও ১০ ফুট ৫ ইঞ্চি প্রস্থের এই ষাঁড়টি বিক্রির জন্য কেরবানির হাট ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দরদাম হয়েছিল।

তবে আশানুরূপ মূল্য না পেয়ে যুবরাজকে ঢাকার গাবতলীর হাটে এনেছিলেন স্বাধীন। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকায় লোকসান দিয়েই বিক্রি করে দিতে হয়েছে পশুটিকে।

রাজধানীর উত্তরার বাসিন্দা ইব্রাহীম মিয়া নামে এক কেমিক্যাল ব্যবসায়ী কিনে নেন যুবরাজকে।

নরসিংদী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, ঈদুল আজহাকে ঘিরে এই জেলায় এবার প্রায় ৮ হাজার খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে ৬৫ হাজার কোরবানির পশু লালন-পালন করা হয়। নতুন উদ্যোক্তাদের অনেকেই এবার বড় আকৃতির পশু লালন-পালনও করেছেন। স্বাধীন ছিলেন তাদেরই একজন।

এ বিভাগের আরো খবর