বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আগুনে পুড়ল ৩৮ ব্যবসায়ীর ঈদ আনন্দ

  •    
  • ৯ জুলাই, ২০২২ ১৭:৪৭

মুদি দোকানি বিমল নন্দী তার পুড়ে যাওয়া দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। কারও কোনো কথার জবাব দিচ্ছেন না। হঠাৎ চিৎকার করে বলে ওঠেন, ‘শুধু ক্যাশের মধ্যেই ১০ লাখ টাকা ছিল।’

ঈদের আগে আগে প্রতিটি মুদি দোকানে ছিল প্রচুর মালামাল। ছিল নগদ টাকা। কিন্তু দুই ঘণ্টার মধ্যে সব শেষ। চোখের সামনে নিজের প্রতিষ্ঠান পুড়তে দেখেছেন ৩৮ জন ব্যবসায়ী।

ঘটনাটি কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলা বাজারের। শুক্রবার রাত পৌনে ৩টার দিকে আগুনের সূত্রপাত। ভোর ৫টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। তার আগে সব হারিয়ে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা।

চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার অনয় কুমার ঘোষ বলেন, ‘আমাদের দুটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আশপাশের মার্কেটগুলোতে যাতে আগুন ছড়াতে না পারে আমরা সে চেষ্টা করেছি।’

শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মুদি দোকানি বিমল নন্দী তার পুড়ে যাওয়া দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। কারও কোনো কথার জবাব দিচ্ছেন না। হঠাৎ চিৎকার করে বলে ওঠেন, ‘শুধু ক্যাশের মধ্যেই ১০ লাখ টাকা ছিল।’

চান্দিনা চাল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দুলাল মিয়া বলেন, ‘আমার তিনটি দোকান পুড়ে গেছে। ঈদের আগ মুহূর্তে প্রতিটি দোকান ছিল মালামালে ভরপুর।’

মুদি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাহারুল ইসলাম বাহার বলেন, ‘বাজারের যে অংশে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, পুরোটাই পৌরসভা নির্মিত চাল বাজার। এ বাজারের ৪৩টি দোকানের মধ্যে ১৯টি দোকানই মুদি ব্যবসায়ীদের। বাকিগুলো চালসহ অন্য পণ্যের। আগুনে সব পুড়ে ছাই।’

এদিন সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের খোঁজ নিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত। ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ১০ হাজার করে টাকা দেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল হক মীর, পৌর মেয়র শওকত হোসেন ভূইয়াসহ উপজেলা ও পৌরসভার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা করেন। ওই তালিকায় ৩৮ জন মালিকের ৪৩টি দোকানের তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর