গত ঈদুল ফিতরে নামাজের শেষ দিকে হঠাৎ বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েন হাজারও মুসল্লি। মোনাজাত না ধরেই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি করেন অনেকেই। পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেউ কেউ।
তবে এবারের ঈদে এমন প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে না যশোর সদর পৌরবাসীর। পুরো ঈদগাহ ময়দান ঢেকে দেয়া হয়েছে ত্রিপল ও শামিয়ানায়। চলছে শেষ মুহূর্তে ঈদগাহ মাঠের সাজসজ্জা।
রাত পোহালেই কাল সাড়ে ৭টায় সুসজ্জিত কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করবেন ১০ হাজারে বেশি মুসল্লি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ ঈদগাহ ময়দানে মুসল্লিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে সুবিশাল প্যান্ডেল। এর ভেতরে আলোকসজ্জা না থাকলেও থাকছে বৈদ্যুতিক ফ্যানের ব্যবস্থা ও সাউন্ড সিস্টেম।
যশোর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম শরীফ হাসান বলেন, ‘গত ঈদে শুধু ঈদগাহের দেয়ালে রং করা হয়েছিল। এবার ঈদগাহের মাটি লেভেলিং ড্রেসিং করে প্যান্ডেল করা হয়েছে। গরম ঠেকাতে ভেতরে থাকবে ফ্যান। নিরাপত্তার জন্য আছে সিসি ক্যামেরাও। ৮০ হাজার ৫০০ বর্গফুট জায়গায় বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষ করে ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে।’
যশোর পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ বলেন, ‘গত ঈদুল ফিতরে মোনাজাতের আগে বৃষ্টি হলে নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ কারণে পৌরবাসীর কথা চিন্তা করে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুসল্লিদের নির্বিঘ্ন ঈদের নামাজ আদায়ের জন্যে ২২ লাখ টাকা খরচ করে বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করছে পৌরসভা। প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে।’