বাসাবাড়িতে প্রস্তুত কোরবানির পশু। অথচ ঈদের আগের দিন গরুর মাংসের দোকানে চাহিদা তুঙ্গে। খাসির মাংসের দোকানেও আছে ক্রেতার আনাগোনা।শনিবার রাজধানীর মগবাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে মাংসের দোকানগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে।
কারণ হিসেবে ক্রেতারা বলছেন, গরু কোরবানি দিয়ে রান্নার জন্য মাংস তৈরি করতে সাধারণত দুপুর হয়ে যায়। তাই দুপুরে বাসায় আসা মেহমানদের জন্য কিছু গরুর মাংস কিনে রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া কেউ কেউ ঈদের পরের দিন (সোমবার) কোরবানি দেন তাই ঈদের দিনের আয়োজনের জন্য মাংস কিনতে হচ্ছে।আবার কেউ কেউ বলছেন, অর্থনৈতিক কারণে এবার কোরবানি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই পরিবারের জন্য মাংস কিনছেন তারা।কারওয়ান বাজারে দেখা হয় ব্যবসায়ী আকাশ ভূঁইয়ার সঙ্গে। গরুর মাংসের কেনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কসাই পেতে সমস্যা হয় তাই আমরা বিকেলে কোরবানি দিই। দুপুরে বাসায় অনেক মেহমান আসবে তাদের জন্য গরুর মাংস কিনছি।’
আরেক ক্রেতা গোলাম মাসুদ বলেন, ‘আমাদের পরিবারের রীতি অনুযায়ী আমরা ঈদের পরের দিন কোরবানি দিই। তাই ঈদের দিনের জন্য কিছু মাংস কিনতে এসেছি।’মগবাজারে এসেছেন বেসরকারি চাকরীজীবী আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না। তাই এবার কোরবানি দিচ্ছি না।’
মগবাজারের মাংস বিক্রেতা আওয়াল বলেন, ‘প্রত্যেক ঈদের আগের দিন মাংসের বেচাকেনা ভালো থাকে। এবারও ভালোই হচ্ছে বেচাবিক্রি। কারওয়ান বাজারের মাংস বিক্রেতা ঝন্টু মাতবর বলেন, ‘সবার তো কোরবানি দেয়ার সামর্থ্য নেই, তাই অনেকেই গরুর মাংস কিনছেন।’বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিপ্রতি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়। আর খাসির মাংস ৯৫০ টাকা, ছাগল ৮৫০ টাকা।