বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরিবহনে বেশি ভাড়া, ব্যবস্থা নিতে প্রমাণ চায় প্রশাসন

  •    
  • ৯ জুলাই, ২০২২ ১৬:২৯

যাত্রী সেলিম মিয়া বলেন, ‘ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রিজ মোড় পর্যন্ত বাসভেদে ভাড়া ২০০-৩০০ টাকা। কিন্তু আমি এসেছি ৬০০ টাকা ভাড়া দিয়ে। বাসগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। সিট পাওয়া কঠিন। এ জন্য বেশি ভাড়া দিয়েছি।’

পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে বাড়ি ফিরেছেন মানুষ। কিন্তু পথে তারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। নানা অজুহাতে তাদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে। চালকদের দাবি, সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। যানজটে অতিরিক্ত তেল খরচ হচ্ছে। এ কারণে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। তবে প্রশাসন বলছে, বেশি ভাড়া নেয়ার প্রমাণ মিললেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।

শুধু বাসে বেশি ভাড়া নিচ্ছে এমন নয়। ঈদ সামনে রেখে তিন চাকার ছোট যানবাহনের সংখ্যাও বেড়েছে। বাসে সিট না পেয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে যাত্রীরা এসব ছোট যানবাহনে গন্তব্যে ছুটছেন।

শনিবার দুপুরে সরেজমিনে নগরীর পাটগুদাম সেতু এলাকা ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাইপাস মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত বিভিন্ন বাসে চড়ে যাত্রীরা এসেছেন ৬০০ টাকা ভাড়া দিয়ে। মহাসড়কে অবাধে চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক, সিএনজি অটোরিকশা ও মাহিন্দ্র। এসব যান চলছে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ-শেরপুরসহ সব সড়ক-মহাসড়কে।

পাটগুদাম সেতু এলাকায় কথা হয় সেলিম মিয়া নামে এক বাসযাত্রীর সঙ্গে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রিজ মোড় পর্যন্ত বাসভেদে ভাড়া ২০০-৩০০ টাকা। কিন্তু আমি এসেছি ৬০০ টাকা ভাড়া দিয়ে। বাসগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। সিট পাওয়া কঠিন। এজন্য বেশি ভাড়া দিয়েছি।’

নয়ন তালুকদার নামে আরেকজন বলেন, ‘বাসের সিট না পেয়ে বিভিন্ন ছোট যানবাহনে চড়ে ভেঙে ভেঙে এ পর্যন্ত এসেছি। এখান থেকে নেত্রকোণার নকলায় যেতে নিয়মিত ভাড়া ১২০ টাকা হলেও ঈদ উপলক্ষে মাহিন্দ্রার ভাড়া নিচ্ছে ৩০০ টাকা। এ টাকা দিতেই রাজি হয়েছি।’

ভালুকায় গার্মেন্টসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন জুয়েল মিয়া। তিনি জানান, ভালুকা থেকে ময়মনসিংহের পাটগুদাম মোড় পর্যন্ত ভাড়া ৫০ টাকা। অথচ তিনি এসেছেন ২০০ টাকা দিয়ে।

শ্যামল ছায়া পরিবহনের চালক মো. হানিফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিন ঘণ্টার সড়কগুলোতে যানজটের কারণে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা চলে যাচ্ছে। এতে গাড়ির তেল পুড়ছে বেশি। আমরাও বেশি নিচ্ছি ভাড়া।’

মাহিন্দ্রাচালক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘সব চালকই ভাড়া বৃদ্ধি করেছেন। এ জন্য আমরাও টাকা বেশি নিচ্ছি। সবাই কম নিলে আমিও কম নেব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন চানু বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে কয়েক গুণ ভাড়া অনেক চালক নিচ্ছেন বলে আমাদের কাছেও অভিযোগ রয়েছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি এমন প্রমাণ মিললে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’

ময়মনসিংহ জেলা ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ পেয়েছি। জেলা প্রশাসনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। সড়কের দুই পাশে গাড়ি না দাঁড়ানো ও ভাড়া বেশি না নেয়ার নির্দেশনা পেয়ে সে অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যাত্রী হয়রানি বন্ধে বিভিন্ন সড়কে ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করছেন। গত দুই দিন ঈশ্বরগঞ্জে কয়েকজন চালককে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। যারা ভাড়া বেশি আদায় করবে, প্রমাণ মিললেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর