বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদের আগের দিন দাম কমছে বড় গরুর

  •    
  • ৯ জুলাই, ২০২২ ১৬:২৯

শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাজারে এক ধরনের ভারসাম্য দেখা গেছে। শুরুতে ব্যাপারীরা অনেক বেশি দাম চাইলে ক্রেতারাও বলেছেন কম। এই দুইয়ের মধ্যে ব্যবধানও কমে এসেছে। তবে সন্ধ্যার পর চিত্রটা পাল্টে যাবে-বলছেন বিক্রেতারাই।

পাবনা থেকে গরু নিয়ে আফতাবনগর হাটে এসেছেন ব্যাপারী মো. আলমগীর। হাটে কেনাবেচা কেমন- দামইবা কত জানতে তার সঙ্গেই কথা হলো নিউজবাংলার।

তিনি বলেন, ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর দাম কমেনি। এ ধরনের গরু আগের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম কমেছে এক লাখ টাকার ওপরের গরুর। গরুর আকার যত বড়, দাম তত কম।

সিরাজগঞ্জ থেকে গরু নিয়ে আসা লোকমান হোসেনও বললেন একই কথা। তিনি বলেন, ‘এবার বড় গরু দামের দিক থেকে সব ধরা। তবে ভালো দাম পাচ্ছে ছোট মাঝারি আকারের গরু।’

তিনি জানান, ‘গতকাল ছোট আকারের কয়েকটি গরু বিক্রি করেছি ৬৮ থেকে ৭২ হাজার টাকায়।’

ঢাকায় কোরবানির পশুর হাটে কেনাবেচার সিংহভাগই হয় মূলত ঈদের আগের দিন। এদিন চাহিদা বেশি থাকলে দামও বাড়ে, আবার চাহিদা কমে গেলে দাম একেবারেই পড়ে যায়।

এবারের চিত্র কী?

লোকমান হোসেন বলেন, ‘আজও গরু সেম দামে বিক্রি করছি। কারণ, আমরা চাই না বিক্রি না করে গরু ফেরত নিয়ে যাই। আবার লোকসানেও বিক্রি করতে চাই না।’

শেষ দিকে পরিস্থিতি বুঝে দাম বাড়া-কমার কথা জানান কুমিল্লা দাউদকান্দির জয়নাল মিয়া। তিনি বলেন, ‘গরুর সংখ্যা কমে এসেছে। ক্রেতাও খুব একটা নেই। তবে সন্ধ্যা নাগাদ যদি ক্রেতা থাকে কিন্তু পশু কমে যায় তাহলে দাম বাড়তেও পারে। তবে সেটি বড় গরুর ক্ষেত্রে বাড়ার সম্ভাবনা নেই।’

ময়মনসিংহ থেকে আসা ব্যাপারী আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, ‘জানি না কফালে কী আছে? ২০টা গরু আনছিলাম। ‌ এহনও নয়ডা বাহি।’

ইতোমধ্যে গরু থেকে কিছুটা লাভের মুখ দেখায় বাকিগুলো তুলনামূলক কমে ছেড়ে দিতে আপত্তি নেই সাত্তারের। বলেন, ‘খরচের টাহা উটলেই ছাইড়া দেয়াম। নাইলে আবার গরু লইয়া বাড়িত ফিরতে অইব।’

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসিন্দা অলিউল্লাহ এসেছেন এই হাটে। দেখা গেল মাঝারি আকারের গরুর দরদাম করতে।

তিনি বলেন, ‘আমার টার্গেট ১ লাখ ৫ থেকে ১০-এর মধ্যে নিয়ে যাওয়া। একাধিক ক্রেতার সঙ্গে কথাবার্তা হচ্ছে, আশা করছি টার্গেট দামের মধ্যেই পাব।’

এক সপ্তাহ ধরেই হাটগুলোতে পশু ওঠা শুরু করলেও এতদিন কেনাবেচা ছিল কম। ঈদের আগে আগের অনিশ্চয়তার মধ্যে যারা পড়তে চান না, তারাই কিনেছেন এতদিন। তবে গত দুই দিনে বাড়তে থাকে বিক্রি।

শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাজারে এক ধরনের ভারসাম্য দেখা গেছে। শুরুতে ব্যাপারীরা অনেক বেশি দাম চাইলে ক্রেতারাও বলেছেন কম। এই দুইয়ের মধ্যে ব্যবধানও কমে এসেছে। তবে সন্ধ্যার পর চিত্রটা পাল্টে যাবে- বলছেন বিক্রেতারাই।

হাটে এখনও পশু আসছে। আকারে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা ও দাম বেশি থাকায় অনেক ব্যাপারী খামারে ফোন দিয়ে নতুন করে গরু পাঠাতেও বলছেন।

আফতাবনগর হাট থেকে যেমন শত শত গরু বের হচ্ছে, তেমনি ট্রাকে ট্রাকে গরু ঢুকতেও দেখা গেছে দিনভর।

এই হাটে বকনা গরু বিক্রি হচ্ছে আকার ভেদে ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে। তুলনামূলক ছোট গরু বিক্রি হচ্ছে ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকায়। মাঝারি গরু বিক্রি হচ্ছে এক লাখ টাকা থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে।

গড়পড়তা বড় ও হৃষ্টপুষ্ট গরু বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকার মধ্যে। এসব গরুর চাহিদা তুলনামূলক কম।

১০ থেকে ১২ কেজি মাংস হতে পারে এমন খাসি ও ছাগল ১০ হাজার টাকার নিচে ছাড়তে রাজি হচ্ছেন না বিক্রেতারা। মাঝারি আকারের খাসি-ছাগলের দাম চাওয়া হচ্ছে ১৩ থেকে ১৮ হাজার টাকা। আর আকারে বড়গুলো চাওয়া হচ্ছে ওজনভেদে ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর