স্বামী ও তিন বছরের সন্তানকে নিয়ে বগুড়ায় ঈদ করতে যাচ্ছেন সাংবাদিক মারুফা রহমান।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় বাসে ওঠেন। রাত সাড়ে ৩টায় পৌঁছান টাঙ্গাইলের করোটিয়ায়। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সেখানেই যানজটে আটকে ছিলেন।
মারুফা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কী হয়েছে বুঝলাম না। সবাই বলছিল বৃহস্পতিবার রাশ শেষ হয়ে যাবে। কাল রাতে আমরা তো ঢাকা ফাঁকাই পেলাম। ১০টায় বাস ধরার জন্য বসুন্ধরা থেকে কাউন্টারে এলাম ফাঁকা রাস্তাতেই।
‘তারপর ঢাকা ছাড়ার পথেও তো যানজট দেখিনি। এখানে রাত সাড়ে ৩টায় এসে পড়লাম ঝামেলায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাসে ওঠার সময় পানি, পপকর্ন ও চিপস নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম সকালে বাসায় গিয়ে ছেলেসহ সবাই নাশতা করব। এমন হবে কে জানত?’
মারুফার মতো অসংখ্য মানুষকে পোহাতে হচ্ছে এই দুর্ভোগ। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজটের কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েক গুণ সময় পেরিয়ে গেলেও তারা পৌঁছাতে পারছেন না নিজ নিজ গন্তব্যে। সবচেয়ে বেশি জট যমুনা সেতুর আগে।
প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বয়স্করা। অনেকেই বাস থেকে বেরিয়ে রাস্তায় বাসের ছায়ায় বসে পড়েছেন। কেউ কেউ শুয়েও পড়েছেন।
টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আতাউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক বিকল হয়ে গেলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।
‘এতে রাত পৌনে ২টা থেকে পৌনে ৪টা পর্যন্ত উত্তরের পথের গাড়ির টোল আদায় বন্ধ রাখতে হয়। সে প্রভাব পড়ে এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত। এর আগেও কয়েকটি গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।’
গত ঈদে মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারলেও এবার চরম ভোগান্তির বিষয়ে বলেন, ‘গত ঈদে প্রায় নয় দিন ছুটি ছিল। মানুষ ভাগে ভাগে বাড়ি গেছে। এবার ছুটি কম হওয়ায় সবাই একবারে ফিরছে। তাই সড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ।’