জাতীয় ঈদগাহে মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- র্যাব। এ কারণে হাতে কিছুটা সময় নিয়ে মুসল্লিদের ঈদগাহে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল মো. কামরুল হাসান।
শনিবার জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঈদগাহে ও প্রতি বছরের মতো আমরা বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছি। স্পেশাল টিম, ডগ স্কোয়াড এবং আমাদের সুইপিং টিমের মাধ্যমে এখানকার নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।’
তিনি জানান, পাশাপাশি অবজারভেশন পোস্ট এবং সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ঈদগাহে পর্যাপ্ত পরিমাণে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা দল উপস্থিত থাকবে। এসব নিরাপত্তাব্যবস্থার কারণে মুসল্লিদের ঈদগাহে প্রবেশ করতে দীর্ঘ লাইন তৈরি হতে পারে জানিয়ে মুসল্লিদের একটু সময় হাতে নিয়ে জামাতে আসার অনুরোধ করেন কর্নেল কামরুল।
ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন মেট্রোপলিটন শহর, উপশহর ও গুরুত্বপূর্ণ ঈদ জামাতগুলোতে একইভাবে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব।
ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার শঙ্কা নেই উল্লেখ করে অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘দেশে ঈদের জামাতের নিরাপত্তার জন্য আগে থেকেই সাইবার প্যাট্রলিং এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছিল র্যাব। এবার কোনো ধরনের নাশকতা কিংবা হামলার শঙ্কা বা তথ্য নেই। কিন্তু তার পরও আমরা প্রস্তুতি হিসেবে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি।’
ঈদুল আজহায় সারা দেশে নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সদর দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিটি ব্যাটালিয়ন তাদের নিজ নিজ অধীন এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে আমাদের বিভিন্ন ধরনের টহল, মোটরসাইকেল-গাড়ির টহল এবং ফুট প্যাট্রলিং আছে।
‘পাশাপাশি সাদা পোশাকে র্যাবের গোয়েন্দা দল সারা দেশে কাজ করছে। এর বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রতিটি ব্যাটালিয়ন তাদের আলাদা ফোর্স রিজার্ভ রাখবে, যেন যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা তাৎক্ষণিক সাড়া দিতে পারে।’
এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় অবজারভেশন পোস্ট এবং চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে আমাদের নজরদারি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাওয়ার কথা জানান তিনি।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘বিশেষ বিশেষ স্থাপনাগুলোতে আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রাখছি এবং কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা সমন্বয় করা হবে।’
র্যাবের হেলিকপ্টার সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে বলে জানান তিনি।
যেকোনো সময় সহায়তা পেতে কন্ট্রোল রুমের এই ০১৭৭৭৭২০০২৯ নম্বরে র্যাবের কাছে সহযোগিতা চাইতে পারবেন।