জাপানের নারা শহরে নির্বাচনি প্রচারে বক্তব্য রাখার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মৃত্যু শুধু জাপানের নয়, পুরো বিশ্বের জন্য ক্ষতি বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও লেখা এক চিঠিতে বাংলাদেশের জনগণ, সরকার ও নিজের পক্ষে শোক জানান প্রধানমন্ত্রী।
চিঠিতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই ক্রান্তিলগ্নে, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে একটি নতুন অংশীদারত্বে উন্নীত করার ক্ষেত্রে নিজের মেয়াদকালে প্রয়াত এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অপরিসীম অবদানের কথা আমরা গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি।’
শিনজো আবের চিন্তা-চেতনা, দূরদর্শিতা এবং প্রজ্ঞার কারণে এটি শুধু জাপানের নয়, বরং গোটা বিশ্বের ক্ষতি বলেও মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই অপ্রত্যাশিত দুঃসময়ে জাপানের শোকার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশের জনগণও আমার সঙ্গে যোগ দিয়েছে।’
জাপানের শোকাহত বন্ধুত্বপ্রতিম জনগণ এবং শিনজো আবের পরিবারের সদস্যদের সাহস ও দৃঢ়তার সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করার কথাও জানান শেখ হাসিনা।
আগামী রোববার অনুষ্ঠেয় জাপানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অফ কাউন্সিলরসের নির্বাচন সামনে রেখে দেশটিতে চলছে প্রচার। সে প্রচারের অংশ হিসেবে শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইয়ামাতো সাইদাইজি স্টেশনের সামনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন আবে। সে সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
ঘটনার পরপর অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। তার বুক থেকে রক্ত ঝরছিল। হাসপাতালে মারা যান জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
৬৭ বছর বয়সী আবে দীর্ঘ সময় ধরে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
এ ঘটনায় একজন সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলাকারীর নাম তেতসুয়া ইয়ামাগামি।
ঘটনার তদন্তকারীদের কাছে ইয়ামাগামি জানিয়েছেন, আবের প্রতি তার ক্ষোভ ছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল তার। এজন্য হাতে তৈরি বন্দুক নিয়ে আবেকে গুলি করেন।
জাপান মেরিটাইম সেলফ ডিফেন্স ফোর্সের সাবেক কর্মকর্তা ৪১ বছর বয়সী তেতসুয়া ইয়ামাগামি। তিনি ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিন বছর ওই পদে ছিলেন।