রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস দুপুর ২:৪৫ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেন ঢাকায় আসতে দেরি করায় স্টেশন কর্তৃপক্ষ ট্রেনটির যাত্রার সময় দুই দফায় পিছিয়ে দেয়। প্রথমে বিকেল সাড়ে ৫টায় সময় বেঁধে দিলেও পরে তা আরও পিছিয়ে ৬টা ৫ মিনিট করা হয়। দীর্ঘ সময় ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন শত শত যাত্রী। গরমে নাকাল হয়ে ট্রেনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তারা।
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বাসিন্দা উজ্জ্বল। একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন তিনি। ঈদের ছুটিতে যাবেন গ্রামের বাড়িতে।
তিনি বলেন, ‘ট্রেন ধরার জন্য দুপুরের আগেই স্টেশনে পৌঁছেছি। এখনও ট্রেনই আসেনি। পাঁচ ঘণ্টা হতে চলল। গরমে প্রাণ যায় আরকি।’
রাজশাহীর ব্যবসায়ী এস এম এ হাসনাত বলেন, ‘চলতে ফিরতেই চার-চারটা ঘণ্টা পার করে ফেললাম। চেয়ে থাকতে থাকতে চোখ ব্যথা হয়ে গেল! তবুও এলো না সিল্কসিটি এক্সপ্রেস।’
ওদিকে তারাকান্দিগামী যমুনা এক্সপ্রেস বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মেই ছিল।
এ ছাড়া আখাউড়াগামী তিতাস কমিউটার ৫টা ৪৫ মিনিটে, টাঙ্গাইল কমিউটার ৬টা, দেওয়ানগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস সোয়া ৬টা এবং কিশোরগঞ্জগামী এগার সিন্ধুর ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিল।
ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে কমলাপুর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব ট্রেন ছেড়ে গেছে তার প্রতিটিতেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপের পাশাপাশি ট্রেনগুলোেও ছেড়েছে কিছু বিলম্বে।