বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফরিদপুরে শনিবার কোরবানি দেবেন ১৩ গ্রামের মানুষ

  •    
  • ৮ জুলাই, ২০২২ ১৭:০৫

‘আমাদের পূর্বপূরুষ থেকে আমরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা মির্জাখিল পীরের তরিকাপ্রাপ্ত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার হজরত ইয়াছিন আলী (রহ.) পীরের অনুসারী। আমরা যারা মির্জাখিল পীরের অনুসারী তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে থাকি।’

ত্যাগের মহিমায় আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে শনিবার ঈদুল আজহা পালন করবেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১৩ গ্রামের মানুষ।

প্রায় শত বছর ধরে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামের মানুষ রোজা ও দুই ঈদ পালন করে আসছেন।

আগাম ঈদ পালন করা মুসল্লিদের সমন্বয়কারী আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বোয়ালমারীর কাটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মাহিদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, শেখর, মাইটকোমড়া, ভুলবাড়িয়া, রাখালতলী, বারাংকুলা, দড়ি সহস্রাইল এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার ইছাপাশা ও শুকুরহাটাসহ এই ১৩টি গ্রামের প্রায় তিন সহস্রাধিক মানুষ ঈদ উদযাপন করবেন।’

মাহিদুল হক বলেন, ‘আমাদের পূর্বপূরুষ থেকে আমরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা মির্জাখিল পীরের তরিকাপ্রাপ্ত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার হজরত ইয়াছিন আলী (রহ.) পীরের অনুসারী। আমরা যারা মির্জাখিল পীরের অনুসারী তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে থাকি।’

‘সব মিলিয়ে হাজার তিনেক মানুষ আছেন, যারা আমরা চট্টগ্রামের অনুসারী। নতুন প্রজন্মের অনেকে এ নিয়ম মানতে চায় না। আগে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ছিল। এবার সস্রাইল, মাইটকুমড়া ও রাখালতলীতে তিনটি জামাত হবে।

‘সকাল সাড়ে ১০টায় রুপাপাত উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান জামাত আদায় হবে। আলফাডাঙ্গা গ্রামের মুসল্লিরা সস্রাইলে এসে জামাত আদায় করবেন।’

শেখর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এটা তাদের দীর্ঘদিনের রেওয়াজ। কিছু মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুই ঈদ পালন করেন। তারা এদিন কোরবানি করেন ও একে অন্যের বাড়িতে গোস্ত বিতরণ করেন।’

বোয়ালমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে উপজেলার প্রায় ১৩টি গ্রামের অধিকংশ মানুষ এই অগ্রিম রোজা ও দুই ঈদ পালন করেন।’

এ বিভাগের আরো খবর