বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাঙামাটিতে জমে উঠেছে পশুর হাট, বেড়েছে দামও

  •    
  • ৮ জুলাই, ২০২২ ১৩:২৮

গরুর দাম এ বছর বাড়তি কেন- এমন প্রশ্নে বিক্রেতা সেলিম সওদাগর বলেন, ‘গোখাদ্যসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তি। এ ছাড়া গরুগুলো হাটে নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও বাড়তি খরচ হয়। শুধু তাই নয়, দামে বোট ভাড়া করে গরুগুলো হাটে আনতে হচ্ছে। এতে কিছুটা দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

রাঙামাটিতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। বেড়েছে ক্রেতা। গত বছরের তুলনায় এ বছরের কোরবানি পশুর দাম কিছুটা বেশি।

শহরের পৌরট্রাক টার্মিনালে বৃহস্পতিবার থেকে একটি মাত্র পশুরহাট বসানো হয়েছে। সদরসহ অন্য উপজেলা মিলে এবার পশুরহাট বসেছে ২০টি।

জেলা প্রাণিসম্পদ তথ্য মতে, রাঙামাটি জেলায় এ বছর ৪৫ হাজার ২৭৭টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৩৭ হাজার ৩৬১টি।

শুক্রবার জেলা শহরের পশুরহাট ঘুরে জানা যায়, এবার পশুরহাটে পাহাড়ি গরু বেশি আনা হয়েছে। মধ্যবিত্তদের চাহিদা মাঝারি আকারের গরু।

ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন বলেন, ‘এ বছর মাঝারি আকারের গরুর দাম একটু বেশি। তবে গরুগুলো বেশ ভালো জাতের। এতে ভালো দামে বিক্রি করতে পারব আশা করি। তাছাড়া একদম পাহাড়ি গরু, পাহাড়ি গরুর চাহিদা ভিন্নরকম।’

গরুর দাম এ বছরে বাড়তি কেন- এমন প্রশ্নে বিক্রেতা সেলিম সওদাগর বলেন, ‘গোখাদ্যসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তি। এ ছাড়া গরুগুলো হাটে নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও বাড়তি খরচ হয়। শুধু তাই নয়, দামে বোট ভাড়া করে গরুগুলো হাটে আনতে হচ্ছে। এতে কিছুটা দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

গরু বিক্রেতা সুজন বিকাশ চাকমা বলেন, ‘বাড়ি থাকতে শুনেছি গরুর দাম বেশি, তবে হাটে এসে দেখি গরু কম দামে মুলাচ্ছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছরে হাটে গরুর আমদানি বেশি হয়েছে।’

ক্রেতা মুবারক হোসেন বলেন, ‘গত বছর মাঝারি যে গরুগুলো ৬০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি, সে আকারের গরু এ বছরে কিনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকায়। গরুর হাটে এসে গরুর দাম শুনে বিপাকে পড়তে হয়েছে। বাজেটও ফেল হয়েছে।’

ক্রেতা মো. শাহ আলম বলেন, ‘গরুর হাটে এখন দুই নম্বরি চলে। কোনটা পাহাড়ি গরু, কোনটা বাইরের গরু বোঝা মুশকিল। পাহাড়িদের হাতে গরু ধরিয়ে দিয়ে এখন বড় আকারের গরুগুলো কিনতে হচ্ছে অতিরিক্ত দামে। গত বছর যে গরু এক লাখ ৮০ হাজার টাকায় কিনেছি, সে আকারের গরু কিনতে হচ্ছে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা দামে। তবে দালাল চক্রের কারণে হাটে পশুর দাম বেশি।’

গরু ক্রেতা মো. জমির জানান, ‘গরুর আসল মালিক তো গরুর আশেপাশে দেখা যায় না। রশি ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন অন্য লোক। গরুগুলো দালালের হাতে পড়াতে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। মাঝারি আকারের একটা গরু কিনেছি। গতবারের চেয়ে এ বছর গরুর দাম একটু বেশি।’

পৌরট্রাক টার্মিনাল পশুরহাট ইজারাদার মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘শুক্র ও শনিবার এ দুইদিন গরুর হাটে আসল পশুর হাট। আজকে জমে উঠেছে পশুর হাট। তবে গত বছরের চেয়ে এ বছর ইজারা ভালো উঠছে। এ বছর সবাই গরু কিনতে বাজারে আসছে।’

এ বিভাগের আরো খবর