বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেরিতে ট্রেন ছাড়ায় বেড়েছে ভোগান্তি

  •    
  • ৮ জুলাই, ২০২২ ১১:৫৮

কমলাপুর থেকে দূরপাল্লার অনেক ট্রেন ছেড়েছে দেরিতে। এতে প্রচণ্ড গরমে হাঁপিয়ে ওঠেন যাত্রীরা। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ে বৃদ্ধ ও শিশুরা।

ঈদযাত্রার চতুর্থ দিন শুক্রবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঢল নেমেছে ঘরমুখো মানুষের। প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের বগিতে জায়গা নেই তিল ধারণের। টিকিট কেটেও সিট পাননি অনেকে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ট্রেন ছাড়ার বিলম্ব।

কমলাপুর থেকে দূরপাল্লার অনেক ট্রেন ছেড়েছে দেরিতে। এতে প্রচণ্ড গরমে হাঁপিয়ে ওঠেন যাত্রীরা। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ে বৃদ্ধ ও শিশুরা।

যারা টিকিট পাননি বা ট্রেনের বগিতে উঠতে পারেননি, তারা ছাদে চেপে বসেছেন। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বেশিরভাগ দূরপাল্লার ট্রেন ছেড়ে গেছে। এরপরও বাড়ি ফেরার আনন্দের কাছে ভোগান্তি ম্লান হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন অনেক যাত্রী।

কোন ট্রেন ছেড়েছে কখন

রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ছয়টায় ছাড়ার কথা থাকলেও প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর ছেড়ে গেছে ৯টা ২৫ মিনিটে।

নীলফামারীর চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ছেড়েছে পৌনে ১০টায়।

৯টা ১০ মিনিটে রংপুর এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এটি প্ল্যাটফর্ম ছাড়ে ৯টা ৫৫ মিনিটে। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী ঈদ স্পেশাল ৪৫ মিনিট দেরিতে ১০টা ১০ মিনিটে স্টেশন ছাড়ে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস এক্সপ্রেস ৯টা ৪৫ মিনিটের জায়গায় ১০টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে গেছে। জামালপুর এক্সপ্রেস ১০ মিনিট দেরিতে ১০টা ৪০ মিনিটে স্টেশন ছেড়ে গেছে।

খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা ছিল ৮টা ১০ মিনিটে, কিন্তু ট্রেনটি ১০টা ৫৫ মিনিটে ছাড়ার অপেক্ষায় ছিল।

কিশোরগঞ্জগামী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস এবং জেলার তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ১১টায় প্ল্যাটফর্ম ছাড়ার অপেক্ষায় ছিল।

গরমে ভোগান্তি

সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী নাসিমা দুই মাস বয়সী মেয়েকে নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন প্ল্যাটফর্মে। প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচতে বাতাস করছিলেন হাতপাখা দিয়ে।

তিনি বলেন, ‘প্রচুর মানুষের ভিড়। দম ফেলার জায়গা নেই। আমি কষ্ট সহ্য করলেও বাচ্চা গরম সহ্য করতে পারছে না। কষ্ট হলেও ঈদ করতে বাড়িতে যেতে পারছি, এটাই আনন্দের।’

নীলসাগর এক্সপ্রেসের যাত্রী আফজাল বলেন, ‘এত ভোগান্তি সহ্য করে টিকেট কেটেছি। এখন যাত্রাকালেও ভোগান্তি।

‘টিকিট কেটেও নিজের সিট পেতে চরম বেগ পেতে হয়েছে। তারপরেও বাড়ি যাচ্ছি। এটাই আনন্দ।’

কী বলছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার জানিয়েছেন, ট্রেনে দৈনিক অন্তত ৫৫ থেকে ৬০ হাজার মানুষ রাজধানী ছাড়তে পারবে। দিনে ও রাতে ৩৭ জোড়া ট্রেন কমলাপুর থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে, তবে এর বেশি যাত্রী নিয়ে প্রতিটি ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। মানুষের এত ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘যেহেতু মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, তাই তাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সার্বিক ব্যবস্থাপনা ঠিক আছে কি না, তা যাচাই করে ট্রেন ছাড়া হচ্ছে। কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে ট্রেন।’

কবে কোন দিনের টিকিট

টিকিট বিক্রি শুরুর দিন ১ জুলাই দেয়া হয় ৫ জুলাইয়ের টিকিট। ২ জুলাই ৬ জুলাইয়ের, ৩ জুলাই ৭ জুলাইয়ের, ৪ জুলাই ৮ জুলাইয়ের, ৫ জুলাই ৯ জুলাইয়ের টিকিট দেয়া হয়।

ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয় ৭ জুলাই থেকে। ১১ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হয় ওই দিন। এর বাইরে ৮ জুলাই ১২ জুলাইয়ের, ৯ জুলাই ১৩ জুলাইয়ের, ১১ জুলাই ১৪ এবং ১৫ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে।

১১ জুলাই সীমিত পরিসরে কয়েকটি আন্তনগর ট্রেন চলবে। ১২ জুলাই থেকে সব ট্রেন চলবে।

এ বিভাগের আরো খবর