সড়ক দুর্ঘটনা, টোল আদায় বন্ধ ও ঈদে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় গাড়ির ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার ভোর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় থেকে সদর উপজেলার রসুরপুর পর্যন্ত এ ধীরগতির সৃষ্টি হয়।
ঢাকার গাজীপুর-চন্দ্রার দীর্ঘ জট কাটিয়ে ওই ২০ কিলোমিটারে গাড়ি থেমে থেমে চলায় গন্তব্যে যেতে দুই-তিন গুণ বেশি সময় লাগছে। এতে উত্তরবঙ্গগামী ঘরমুখো মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা বিপাকে পড়েছেন।
জোকারচর এলাকায় আটকে থাকা পাবনাগামী বাসচালক রাসেল মিয়া বলেন, ‘সড়কে অসংখ্য গাড়ি। পাঁচ কিলোমিটার আসতে সময় লাগছে ১ ঘণ্টা, আগে ২০ মিনিটেই চলে যাওয়া যেত।’
যাত্রী সালমা বেগম বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পাবনা যাচ্ছি। জ্যামে আটকে থেকে গরমে আমার তিন বছরের মেয়ের খুব কষ্ট হচ্ছে। দেখে আমারও খুব খারাপ লাগছে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুর পশ্চিম পাশে ১৭ নম্বর পিলারের কাছে বাস-পিকআপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এতে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট টোল আদায় বন্ধ রাখে সেতু কর্তৃপক্ষ।
‘এ ছাড়া অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ তো রয়েছেই। এসব কারণে ওই এলাকায় গাড়ি ধীরগতিতে চলছে, তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়ক খানিকটা স্বাভাবিক হবে আশা করছি।’