বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্লিনিকের অবহেলায় নারী মৃত্যুর অভিযোগ

  •    
  • ৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০১

মৃতের মেজে ছেলে সুফিয়ার রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তাদের মা মারা যাওয়ার পর কোতয়ালী মডেল থানার এসআই রেজাউলের নেতৃত্বে একটি ফোর্স আসে। তিনি এসেই মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন। এমনকি সার্টিফিকেটও দেননি।’

যশোরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে দায়িত্বে অবহেলায় ৫০ বছর বয়সী শাহিদা বেগম নামে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

শহরের নোভা ক্লিনিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে। মৃত্যুর ঘটনায় ক্লিনিকের সামনে বিক্ষোভ করেছেন মৃতের স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন, যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম।

মৃত নারী যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া পশ্চিম পাড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম পিন্টুর স্ত্রী। তিনি ওই ক্লিনিকে কিডনি ডায়লাইসিসের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে ভর্তি হন। মারা যাওয়ার পরে ক্লিনিকের ম্যানেজারসহ ডায়লাইসিস বিভাগের ইনচার্জ ও নার্সরা পালিয়েছে।শাহিদা বেগমের বড় ছেলে বাপ্পী হোসেন জানান, ‘তার মা ৫ মাস ধরে কিনডি রোগে ভুগছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে চার মাস ধরে নোভা ক্লিনিকে ডায়লাইসিস করে আসছিলেন। তাই বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।

ডায়লাইসিস করার আগে ইনচার্জ সেলিম হোসেন তাকে জানান তার মার জন্য জরুরি রক্ত লাগবে। দুপুরে ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষের কাছে এক ব্যাক রক্ত এনে দিলে তারা রক্ত না দিয়ে তাদের অফিসে বসে থাকেন। একপর্যায়ে মায়ের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাদের জানালেও নার্স এবং ইনচার্জ মুঠোফোন গেম খেলতে থাকেন।

তিনি বলেন, ‘দিনমজুরি কাজ করে সংসার চালাই। ছুটাছুটি করে রক্ত এনেও মাকে বাঁচাতে পারলাম না। রক্ত এনে প্রথমে হাসপাতালের এক নার্সকে বললে তিনি জানান, তার আমার শির্ফট শেষ; অন্যজন আসলে দিয়ে দিবে। আর একজন মোবাইলে গেম খেলছিলো। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমার মাকে বাঁচাতে পারলাম না।’

মৃতের মেজে ছেলে সুফিয়ার রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তাদের মা মারা যাওয়ার পর কোতয়ালী মডেল থানার এসআই রেজাউলের নেতৃত্বে একটি ফোর্স আসে। তিনি এসেই মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন। এমনকি সার্টিফিকেটও দেননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা মৃত্যুর সার্টিফিকেট আর মৃত্যুর বিচার না পেলে বাড়ি যাবেন বলে ঐ পুুলিশ কর্মকর্তাকে জানালে উল্টো মামলা দেওয়ার হুমকি দেন।’

তবে মামলা দেওয়ার হুমকির বিষয়টি মিথ্যা দাবি করেন কোতয়ালী মডেল থানার কর্মকর্তা এস আই রেজাউল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্লিনিকে রোগী মারা যাওয়ার ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসি। এসে বিক্ষুদ্ব স্বজনদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য শুনেছি। স্বজনদের মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

নোভা ক্লিনিকের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মুঠোফোনে বলেন, ওই রোগীকে এর আগেও আমার ডায়লাইসিস করেছি। কোন সমস্যা হয়নি। মারা যাওয়ার কারণ আমরাও বুঝতে পারছি না। তার চিকিৎসায় কোন অবহেলা হয়নি।

এই বিষয়ে যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘স্বজনরা এখনো আমাদের কাছে কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর