বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ট্রাকেই বাড়তি ভাড়ায় শ্রমিকদের ঈদযাত্রা

  •    
  • ৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০৪

কাউন্টার কর্মী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সব গাড়িতেই বেশি ভাড়া নিচ্ছে, আমরাও নিচ্ছি। ঈদের সময় সবাই তো বাড়িতে যাবে। গাড়ি ভরা গেলেও, ফিরবে খালি। তাই মালিকরা যেভাবে ভাড়া নিতে বলেছে, আমরা সেটাই নিচ্ছি।’

সাভারের অধিকাংশ শিল্পকারখানায় ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। ছুটি পেয়েই পোশাক শ্রমিকদের ঢল নেমেছে বিভিন্ন সড়কে। বাড়ি ফিরতে বৃহস্পতিবার থেকে মরিয়া চেষ্টা তাদের। সে তুলনায় যানবাহন কম। চাহিদা বুঝে বাস মালিকরা তাই হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রায় তিন গুন ভাড়া। নিরুপায় শ্রমিকদের অধিকাংশ এ পরিস্থিতিতে বাড়তি খরচ গুনেও ঈদযাত্রা করছেন ট্রাক-পিকআপ, এমনকি বাসের ছাদে।

বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই দেখা যায়, সাভার-আশুলিয়ার বিভিন্ন রাস্তায় হাজার হাজার শ্রমিক। ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে তারা যে যার মতো ছুটছেন বাড়ির দিকে।

ভাড়া করা বাসে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কারণে অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, পিকআপ ও বাসের ছাদে রওনা হয়েছেন। সেখানেও খরচ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। এসব অনিয়মের বিষয়ে পুলিশ নিষ্ক্রীয় বলে বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিকরা।

দুপুরের পর সাভারে ঢাকা-আরিচা, আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে ঢল নামে পোশাক শ্রমিকের। এসময় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে এসব সড়কে যানজট দেখা দেয়। রংপুর, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলগামী দূরপাল্লার পরিবহনের কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের কাছে তিন গুণ পর্যন্ত বেশি ভাড়া দাবি করতে দেখা যায়।

বগুড়া যেতে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার টিআর ট্রাভেলস কাউন্টার থেকে চারটি টিকেট কিনেছেন নাহিদ হাসান নামের শ্রমিক। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাবেন তিনি। তার কাছে প্রতিটি টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ১১০০ টাকা করে। এই রুটে স্বাভাবিক সময়ের ভাড়া ৪৫০ টাকা।

নাহিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন ১১০০ টাকা করে টিকিট কিনছি। এমনি ভাড়া ৪৫০ টাকা। তারা প্রায় ৬০০-৭০০ টাকা করে বেশি ভাড়া নিচ্ছে। বাড়িতে তো যেতে হবেই, পরিবারের সবাই অপেক্ষায় আছে।’

পোশাক শ্রমিক মো. রতন মিয়া বলেন, ‘আমি রংপুর যাবো। দুই-তিন ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি গাড়ির জন্য। দূরপাল্লার সব গাড়ির ভাড়া কয়েক গুণ বেশি। রংপুরের ভাড়া ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। তারাএখন ১৫০০-১৬০০ টাকা চাচ্ছে। কি করব বুঝতেছি না। ঝুঁকি নিয়ে হলেও এখন ট্রাকে যেতে হবে, তাছাড়া উপায় নাই।’

শ্রমিকদের থেকে বাস মালিকরা আদায় করছেন কয়েক গুন বেশি ভাড়া। ছবি: নিউজবাংলা

বাইপাইল এলাকার টিআর ট্রাভেলসের কাউন্টার কর্মী ফরহাদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সব গাড়িতেই বেশি ভাড়া নিচ্ছে, আমরাও নিচ্ছি। ঈদের সময় সবাই তো বাড়িতে যাবে। গাড়ি ভরা গেলেও, ফিরবে খালি। তাই মালিকরা যেভাবে ভাড়া নিতে বলেছে, আমরা সেটাই নিচ্ছি।’

আহাদ কাউন্টারের মো. মিলন বলেন, ‘আমরা কি করব বলেন? সবাই তো নিতেছে। রংপুরের গাড়িতে পিছনের সিটেও ভাড়া ১১০০-১৫০০ টাকা নিতেছে।’

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ অনিয়ম বিষয়ে জানতে চাইলে বাইপাইল এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. মামুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার কথা বলার পারমিশন নাই ভাই।’

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘পোশাক কারখানাগুলোতে ছুটি হয়ে যাওয়ায় সড়কে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। যাত্রীদের অভিযোগের বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর