বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মা সেতু হয়ে বাড়ি যাচ্ছে ইউমিও

  •    
  • ৭ জুলাই, ২০২২ ২০:৪৯

‘ঈদের ছুটিতে ঢাকার বাসার সবাই গ্রামে গেছে। বাসা ফাঁকা। তাই ইউমিকে রেখে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নাই। তাছাড়া আমি অনেক জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার সময় ওকে নিয়ে যাই। বয়স কম তাই দেখেশুনে রাখি।’

পদ্মা সেতু হয়ে বাড়ি ফেরার আনন্দ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ঈদের আনন্দকে বাড়তি আমেজ দিয়েছে। অনেকে এই আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন পোষা প্রাণীর সঙ্গেও।

তাদের একজন মো. তারেক। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে থাকেন তিনি। পড়েন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

শখ করে তারেক তার এক বড় আপুর কাছ থেকে দুই মাস আগে ইউমি নামে একটি বিড়ালকে দত্তক দিয়েছিলেন। ইউমিকে নিয়েই পদ্মা পাড়ি দিয়ে গোপালগঞ্জের বাড়িতে ঈদ করতে যাচ্ছেন।

তারেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইউমি আমার খুব আদরের। এক বড় আপুর কাছ থেকে দুই মাস আগে তাকে এডপ্ট করেছিলাম। আমার পরিবার গোপালগঞ্জ সদরে থাকে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। সঙ্গে ইউমিও যাচ্ছে।’

কাউন্টারে বলা হয় নাই বিড়াল যাবে। তারেকের আশা, বাসের কর্মীরা নিষেধ করবে না।গরম এবং ভিড়ে কাহিল অবস্থা গুলিস্তান বিআরটিসি বাস টার্মিনালে আসা যাত্রীদের। এই অবস্থায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছে ইউমি। একটা কার্টন রয়েছে তাকে বহন করার জন্য।

তারেক বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে ঢাকার বাসার সবাই গ্রামে গেছে। বাসা ফাঁকা। তাই ইউমিকে রেখে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নাই। তাছাড়া আমি অনেক জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার সময় ওকে নিয়ে যাই। বয়স কম তাই দেখেশুনে রাখি।’তারেক এবং ইউমি দুজনেই এবার প্রথম পদ্মা সেতু হয়ে বাড়ি ফিরছে। ঈদও হবে, পদ্মা সেতু দেখাও হবে। এ যেন রথ দেখতে এসে কলা বেচার মতো।

তারেক বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরে এখনও বাড়ি যাই নাই। ইউমি এবং আমি দুজনেই পদ্মা সেতু হয়ে প্রথম বাড়ি যাচ্ছি। এটা আমার কাছে অনেক আনন্দের।’

এ বিভাগের আরো খবর