বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চবির ফার্সি বিভাগে নিয়োগ: কর্মকর্তার পদাবনতি, কর্মচারীর চাকরিচ্যুতি

  •    
  • ৭ জুলাই, ২০২২ ১৯:১২

অধ্যাপক এ কে এম মাঈনুল হক মিয়াজী বলেন, ‘নিয়োগে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা আমরা কারোরটাই প্রমাণ করতে পারিনি। আমাদের সীমাবদ্ধতা ছিল। তাই আমরা বলেছি একটা ফৌজদারি মামলা করতে। মামলা করলে পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা মিলে এ বিষয়গুলো এবং আরও কেউ জড়িত কি না খুঁজে বের করতে পারবে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আর্থিক লেনদেনসংক্রান্ত অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

প্রতিবেদনে অভিযুক্ত উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী খালেদ মিছবাহুল মোকর রবীন ও কর্মচারী আহমদ হোসেনের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে কমিটি।

নগরীর চারুকলা ইনস্টিটিউটে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে শুরু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৮তম এক্সট্রা অর্ডিনারি সিন্ডিকেট সভায় প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।

প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো হলো, অভিযুক্ত পিএস রবীনের পদাবনতি (ডিমোশন), কর্মচারী আহমদ হোসেনের চাকরিচ্যুতি, অন্য যারা সংশ্লিষ্ট অর্থাৎ যারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেনি তাদের সতর্ক করে নিজ দপ্তর থেকে অন্য দপ্তরে বদলি করা, এ ঘটনায় আরও যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে ফৌজদারি মামলা করা।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও সিন্ডিকেট মেম্বার অধ্যাপক এ কে এম মাঈনুল হক মিয়াজী। তিনি বলেন, ‘কর্মচারী আহমদ হোসেন অনেককে ফোন দিয়েছেন, নামে-বেনামে টাকা চেয়েছেন। এখন টাকা দিয়েছেন কি দেন নাই সেগুলো আমরা যাচাই করতে পারি নাই, আমাদের সীমাবদ্ধতা ছিল। উনি যেহেতু আর্থিক লেনদেনের কথা বলেছেন, তাই ওনাকে চাকরিচ্যুত করার জন্য আমরা সুপারিশ করেছি।

‘অভিযুক্ত উপাচার্যের পিএস রবীনের ফোনালাপে সরাসরি টাকাপয়সার কথা বলা নাই। একজন অফিসার হিসেবে তার কথাবার্তা শুনে আমাদের মনে হয়েছে, তিনি দায়িত্বশীল কথাবার্তা বলেন নাই। তিনি লিমিট ক্রস করেছেন। সে জন্য তাকে এক ধাপ নিচে নামিয়ে পদাবনতি দেয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এটা মেজর পানিশমেন্ট।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিয়োগে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা আমরা কারোরটাই প্রমাণ করতে পারিনি। আমাদের সীমাবদ্ধতা ছিল। তাই আমার বলেছি, একটা ফৌজদারি মামলা করতে। মামলা করলে পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা মিলে এ বিষয়গুলো এবং আরও কেউ জড়িত কি না খুঁজে বের করতে পারবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যাদের নাম এসেছে আমরা সবার সাক্ষাৎকার নিয়েছি। আমাদের উপাচার্য বলেছেন, যে সমস্ত কথা, যে কর্মকর্তা ও অফিসার বলেছেন, তা তাদের নিজেদের দায় থেকে বলেছেন, এতে কারও সঙ্গে কারও সংশ্লিষ্টতা নেই।

ফোনালাপ বিশ্লেষণ ও সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আট পৃষ্ঠার এই তদন্ত রিপোর্ট করা হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক মাঈনুল হক মিয়াজী। সিন্ডিকেট তদন্ত কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করেছেন বলেও তিনি জানান।

এ বিভাগের আরো খবর