ঈদের বাকি আর দুই দিন। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে ইতোমধ্যে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। স্বাভাবিকভাবে চাপ বাড়ছে সড়কসহ নৌপথে। ঘরমুখো মানুষের বড় একটি অংশ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের। তাদের ঈদযাত্রাকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট ঘাট কর্তৃপক্ষ।
ফলে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি পার হতে পারবেন যাত্রী ও চালকেরা- এমন আশাবাদ কর্তৃপক্ষের।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ঈদ উপলক্ষে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ১০টি ও আরিচা-কাজিরহাটে চারটি ঘাট প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ২১টি এবং আরিচা-কাজিরহাটে ৪টি ফেরি চলাচল করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের শিবালয়ের পাটুরিয়া এবং রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ফেরিঘাট ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট লঞ্চঘাটগুলো মেরামত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। প্রতিটি ফেরি ও লঞ্চে স্বাভাবিকভাবে যাত্রী ও যানবাহন পারপার করা হচ্ছে। ঘাট এলাকায় হাতে গোনা কিছু যানবাহন ফেরির অপেক্ষা করছে। তাদের নিরাপত্তায় ঘাট এলাকায় রয়েছেন পুলিশ ও আনসার এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
পাটুরিয়া লঞ্চ মালিক সমিতির সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদুল আজহা উপলক্ষে লঞ্চমালিকদের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যাতে যাত্রীরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে লঞ্চ পার হতে পারে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ২০টি এবং আরিচা কাজিরহাট নৌপথে ১৩টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।’
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মো.খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন পারপারের জন্য বিআইডব্লিটিসির সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সবগুলো ঘাট ও ফেরি সচল রয়েছে। যাত্রী ও যানবাহন ফেরি ঘাটে আসামাত্রই ফেরিতে উঠতে পারছে। আশা করছি, কোনো ভোগান্তি ছাড়াই ঈদযাত্রা শেষ করতে পারব।’
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটের ফায়ার সার্ভিসের ৮ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। দিনে ও রাতে তারা ঘাটে অবস্থান করবে।’
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদ খাঁন বলেন, ‘ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসন মহাসড়ক ও ফেরিঘাটে কাজ করছে। ৮০০ পুলিশ, আনসার ও র্যাবসহ প্রায় ১ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কাজ করছেন।’
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদের ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজ করা হচ্ছে। রাস্তায় যাত্রীদের ভোগান্তি ও অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন, যাতে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি না পোহাতে হয়। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত ঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’