ঠাকুরগাঁওয়ে ১০ টাকা কম দেয়ায় নসিমনচালক ও গরু ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে টোল আদায়কারীদের বিরুদ্ধে।
পৌর শহরের বালিয়াডাঙ্গী এলাকায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরে আহত ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম ও চালক জহিরুল ইসলাম সম্পর্কে দুই ভাই। তাদের বাড়ি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়।
সরজমিনে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি এবং শ্রমিক ইউনিয়ন একই রসিদে মালিক ও শ্রমিক যৌথ কল্যাণ ও টার্মিনাল উন্নয়নের নামে ৩০ টাকা করে টোল আদায় করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী নসিমনের হেলপার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বালিয়াডাঙ্গী থেকে নসিমনভর্তি গরু নিয়ে তারা মাদারগঞ্জ হাটে যাচ্ছিলেন। বালিয়াডাঙ্গী মোড়ে সংগঠনের লোকজন ৩০ টাকা করে টোল আদায় করছিলেন। এ সময় ২০ টাকা টোল দেয়াতে তারা নসিমনের চাবি খুলে নেন।
‘পরে বুঝিয়েশুঝিয়ে টাকা দিতে চাইলেও তারা ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ও মারামারি শুরু করেন। এ সময় তারা আমাদের লোকজনকে একটি রুমে নিয়ে আটকে রাখেন।’
আহত দুজনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে সেখানে টোল আদায়কারীরা নানা রকম হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছিলেন হামলার শিকার ব্যক্তিদের।
ঠাকুরগাঁও জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘টোল আদায়কে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা শোনামাত্রই সেখানে লোক পাঠিয়েছি। শুনেছি নসিমনচালক টোল না দিয়ে উল্টো আদায়কারীদের গায়ে হাত তুলেছে। এ কারণে শ্রমিকরা খানিকটা ক্ষুব্ধ হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।’
ঘটনা জানতে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তাকে এসএমএস করেও কোনো সাড়া মেলেনি।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমানআরা বেগম বন্যা বলেন, ‘টোল আদায় নিয়ে মারধরের ঘটনা ন্যক্কারজনক। ঘটনা খতিয়ে দেখছি।’
তবে পৌর শহরের ভেতর সংগঠনটির টোল আদায়ে বৈধতা আছে কি না তা জানাতে পারেননি পৌর মেয়র।
এদিকে পৌর শহরে যত্রতত্র টোল আদায়কে চাঁদাবাজি হিসেবে দেখছেন পৌরবাসী ও সচেতন মহল। তাই উন্নয়নের নামে টোল আদায় বন্ধের দাবি জানিয়েছে তারা।
অধিকাংশ শ্রমিক টোলের বিনিময়েও কোনো সুবিধা পান না বলে অভিযোগ উপস্থিত প্রায় ১৫ জন চালকের। একই সঙ্গে টোল আদায়কে কেন্দ্র করে মাঝেমধ্যেই শ্রমিকদের মারধরের ঘটনা ঘটে বলেও অভিযোগ করেন তারা।