খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার পল্লীশ্রী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন চারতলা অ্যাকাডেমিক ভবন একপাশে হেলে পড়ার ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইইডির এক নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ভবনের কাজ শেষ না হতেই ভবনটি ৫-৬ ইঞ্চি হেলে পড়ে। বিষয়টি নজরে এলে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়। কিছুদিন পর হেলে পড়া ভবনটি সোজা করার জন্য ‘অভিনব পদ্ধতি’তে আবার কাজ শুরু করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ভবনটি সোজা করতে যে পাশে হেলে গেছে তার বিপরীত পাশে খনন করা হচ্ছে ১৪ ফুট গভীর খাল। অন্য পাশে বাঁশের পাইলিং দিয়ে ১২ ফুট চওড়া ও ১৪ ফুট উচ্চতায় নির্মাণ করা হচ্ছে বাঁধ, যা সম্পূর্ণ প্রকৌশল বিদ্যাবহিভূর্ত।
জানতে চাইলে ইইডির খুলনা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নির্দেশনা অনুযায়ী সমস্যা সমাধানের কাজ চলছে। এর বেশি কিছু আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।’
গত ২৮ জুন স্কুলভবন হেলে পড়ার ঘটনায় ইইডির খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আ. ট. মারুফ আল ফারুকীর নেতৃত্বে তদন্তদল গঠন করা হয়। এ তদন্তদলে রয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রধান কার্যালয়) মীর মুয়াজ্জেম হুসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী (খুলনা) মু. মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) এস এম সাফিন হাসান ও সহকারী প্রকৌশলী রতিশ চন্দ্র সেন।
জানা যায়, বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী শাহ নাইমুল কাদের ইইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী থাকাকালে এ প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন। এখনও তিনি এ প্রকল্পের দায়িত্বে আছেন।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার প্রধান প্রকৌশলী শাহ নাইমুল কাদেরকে ফোন ও এসএমএস করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
ইইডি থেকে জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) বাস্তবায়নাধীন ‘নির্বাচিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় পল্লীশ্রী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চারতলা অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয় ২০১৮-১৯ অর্থবছর। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় দুই কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার টাকা।