সপ্তাহজুড়ে লোডশেডিংয়ে মানুষের নাকাল অবস্থা। তবে রাজশাহী অঞ্চলে গত কয়েক দিন বিদ্যুতের যে যাওয়া আসার খেলা ছিল, বুধবার তার খানিকটা উন্নতি হয়েছে।
তবে এটি সরবরাহ বাড়ার কারণে নয়, বরং চাহিদা কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা ভালো মনে হয়েছে।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি পাওয়ার কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেড সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, বুধবার অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ যায়নি।
বাঘা উপজেলার শিক্ষক কামরুজ্জামান মিলন বলেন, ‘গত ৩/৪ দিন যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে, বুধবার তা অনেকটাই কম ছিল। এ কয়দিনের বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ ছিল না। বুধবার সকাল থেকে কয়েকবার বিদ্যুৎ গেছে, তবে কিছুক্ষণ পরই আবার চলে এসেছে।’
তবে এই উন্নতি সাময়িক বলে জানিয়েছেন রাজশাহী অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নেসকো কর্মকর্তারা।
সরবরাহ বাড়েনি বরং চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে কম লোডশেডিং করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেসকোর রাজশাহী অঞ্চলের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতির এখনও কোনো উন্নতি হয়নি। তবে বুধবার এ অঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা ৭ মেগাওয়াট কমে যায়। গত রোববার দুপুর ১২টায় রাজশাহী বিভাগে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৪০৫ মেগাওয়াট আর সরবরাহ পেয়েছি ৩০৩ মেগাওয়াট। লোডশেডিং করতে হয়েছে ১০২ মেগাওয়াট।
‘রাত ৯টার দিকে চাহিদা ছিল ৪৪১ মেগাওয়াট আর সরবরাহ পেয়েছি ৩৫০ মেগাওয়াট। লোডশেডিং হয়েছে ৯১ মেগাওয়াট। সোমবার দুপুর ১২টায় চাহিদা ছিল ৪৬৫ মেগাওয়াট, সরবরাহ পেয়েছি ৩৪৬ মেগাওয়াট। লোডশেডিং হয়েছে ১১৯ মেগাওয়াট।’
তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চাহিদা ছিল ৪৫১ মেগাওয়াট, এর বিপরীতে সরবরাহ পাওয়া গেছে ৩৩৭ মেগাওয়াট। রাতে ৯টার দিকে ৪৭৪ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যায় ৩৪৫ মেগাওয়াট, লোডশেডিং করতে হয় ১২৯ মেগাওয়াট।
‘আর বুধবার দুপুর ১২টার দিকে চাহিদা ছিল ৩৮১ মেগাওয়াট। চাহিদার পুরোপুরি সরবরাহ পাওয়া গেছে।’
নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘সরবরাহ কম হওয়ায় ম্যানেজ করা হচ্ছে লোডশেডিং এর মাধ্যমে। এই সমন্বয় করতে গিয়ে আমরা চরমভাবে হিমশিম খাচ্ছি। প্রতিটি ফিডার এক ঘণ্টা পরপর এক ঘণ্টা বা ৪৫ মিনিট করে লোডশেডিং করতে হয়েছে।’
হঠাৎ বুধবার চাহিদা কমে যাবার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটির নির্দিষ্ট কারণ বলা যাচ্ছে না। তবে আবহাওয়া তুলনামূলক কম গরম থাকায় এটি কমতে পারে।’