বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ফেরিতে বাইকারদের ভিড়

  •    
  • ৬ জুলাই, ২০২২ ২১:০১

মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরতি মাগুরার মোহাম্মদ ওয়ালিদ বলেন, ‘ইচ্ছা ছিল ঈদের দুদিন আগে বাড়ি যাব। কিন্তু আগামীকাল থেকে তো মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। এ কারণে দুই দিন আগেই বাড়িতে যেতে হচ্ছে।’

রাত পোহালেই আগামী সাত দিনের জন্য এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। তাই নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগেই বাড়ি ফিরতে মরিয়া বাইকাররা।

নিষেধাজ্ঞার এক দিন আগে বুধবার মোটরসাইকেল আরোহীদের ভিড় দেখা গেছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে। প্রতিটি ফেরিতে অন্যান্য যানবাহনের চেয়ে মোটরসাইকেলের সংখ্যাই ছিল বেশি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম রুট পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট। ঈদুল আজহা সামনে রেখে ২১টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারপার করা হচ্ছে এই রুটে।

বুধবার বিকেলে মানিকগঞ্জের শিবালয়ের পাটুরিয়া ৩ ও ৪ নম্বর ঘাটে গিয়ে মোটরসাইকেলচালকদের ভিড় দেখা গেছে। যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনের তুলনায় প্রতিটি ফেরিতেই মোটরসাইকেল ছিল বেশি। তবে ঘাট এলাকা ছিল স্বাভাবিক। গাড়ি আসামাত্রই ফেরিতে উঠতে পারছে।

মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন মাগুরার মোহাম্মদ ওয়ালিদ। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইচ্ছা ছিল ঈদের দুদিন আগে বাড়ি যাব। কিন্তু আগামীকাল থেকে তো মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। এ কারণে দুই দিন আগেই বাড়িতে যেতে হচ্ছে। মোটরসাইকেল বন্ধ না থাকলে সব কাজ শেষ করে যেতে পারতাম।’

এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নেওয়াজ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত পোহালেই মহাসড়ক ও অন্য জেলায় মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ। তাই বাধ্য হয়ে আগেই মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়িতে (ফরিদপুর) যাচ্ছি।’

কুষ্টিয়ার আবু হানিফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অফিসের যাতায়াতের জন্য মোটরসাইকেল কিনেছি। এর জন্য মোটরসাইকেল ঢাকায় রাখতাম। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে তো ঘোরাফেরা বা আত্মীয়দের বাসায় যেতে হবে। তখন মোটরসাইকেল না থাকলে সমস্যায় পড়তে হবে। সবকিছু বিবেচনা করে অফিস থেকে অর্ধেক বেলা ছুটি নিয়ে বাড়িতে মোটরসাইকেল রাখতে যাচ্ছি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাইকার এ যানটির ওপর নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছেন। তাদের একজন বলেন, ‘এটা পাগলামী ছাড়া আর কিছু না। মোটরসাইকেল ছাড়াও তো প্রতিদিন দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। তাহলে সরকার কি সব যানবাহন বন্ধ করে দেবে নাকি? অযথা মোটরসাইকেল বন্ধ করা হয়েছে। এতে তো আমাদের ভোগান্তি বেড়েছে।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘গত কয়েক দিনের তুলনায় বুধবার দুপুর থেকে যাত্রী ও যানবাহন বেড়েছে। বাস-ট্রাকের তুলনায় মোটরসাইকেলের সংখ্যাই ছিল বেশি। সকাল ও দুপুরের তুলনায় বিকেলে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়তে থাকে।’

গত ৩ জুলাই বিকেলে সরকারি সিদ্ধান্ত হয়, ঈদুল আজহার দিনসহ এর আগে ও পরে তিন দিন করে মোট সাত দিন এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মোটরসাইকেল চলাচল করবে না। একই সময়ে দেশের সব মহাসড়কে রাইডশেয়ারিংও করা যাবে না।

সেদিন সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জরুরি সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।

এ বিভাগের আরো খবর