আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে যোগাযোগের প্রধান সড়কে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন বন্ধ করতে না পারলে প্রতাপনগরের সঙ্গে উপজেলা-জেলা শহরের যোগাযোগব্যবস্থা আবারও ভেঙে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আইয়ুব আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও ইয়াসে ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে ওয়াপদার বেড়িবাঁধ ভেঙে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সামান্য উত্তরে প্রধান সড়কের কালভার্ট ভেসে যায়। এতে এলাকার রাস্তাঘাট, বাড়িঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ভেসে যায় মৎস্যঘের ও ফসলের ক্ষেত।
‘জোয়ার-ভাটায় রাস্তার বিশাল এলাকাজুড়ে ভেঙে গিয়ে নদীতে পরিণত হয়। বাধ্য হয়ে নৌকায় খেয়া পারাপারের মাধ্যমে যোগাযোগব্যবস্থা রক্ষার চেষ্টা করা হয়। পরে সেখানে বাঁধ দিয়ে যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়। সেখানে টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সম্প্রতি রাস্তায় ফাটল ধরেছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা সুকুমার দাশ বলেন, ‘স্থায়ী রাস্তা নির্মাণ না করা গেলে প্রতিবার জোড়াতলি দিয়ে চালাতে হবে। এটা প্রতাপনগরের প্রধান সড়ক। প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতাপনগরের সঙ্গে জেলা শহর উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাস্তার দুই পাশে ভাঙন শুরু হওয়ায় রাস্তা সংকীর্ণ ও ভেসে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।’
ইউপি চেয়ারম্যান হাজি আবু দাউদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রথমে বালি ফেলে রক্ষার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। পরে দুই পাশে পাইলিং দিয়ে ভেতরে বালির বস্তা ফেলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরে ওপরে শক্ত মাটি, বালি ও ইটের সোলিং করে সড়ক ব্যবহারের উপযুক্ত করা হবে।
‘বর্তমানে দুই চাকার যানবাহন চলাচল করতে পারলেও তিন বা চার চাকার যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সহায়তা ও নির্মাণকাজের বরাদ্দ না থাকায় আমি আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কাজ শুরু করব।’