ঈদের আগে ও পরে ৭ দিন এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মোটরসাইকেলে চলাচল নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে গাজীপুরে মানববন্ধন করেছেন একদল বাইকার।
গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বুধবার দুপুরে মাথায় হেলমেট পরে ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদর্শন করে মানববন্ধনে অংশ নেন শতাধিক বাইকচালক।
এ সময় মহাসড়কে মোটরসাইকেল বন্ধের জন্য বাস মালিকদের দোষারোপ করেন তারা। এছাড়া ঈদের আগে ও পরে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান বাইকচালকরা।
মানবন্ধনে অংশ নেয়া বাইকার আশিকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিরাপত্তার ইস্যুতে আন্তমহাসড়কে বাইক চলাচল বন্ধ কার্যকরী সমাধান নয়। বরং মহাসড়কে আইনের প্রয়োগ করে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেয়া হোক।’
এ নিষেধাজ্ঞার ফলে লাখো মোটরসাইকেল ব্যবহারকারী এবারের ঈদে তাদের পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে সমস্যার সম্মুখীন হবেন বলে মনে করেন তিনি।
বাইকার সবুজ হোসেন বলেন, ‘আমরা চাই সঠিক আইন প্রয়োগের মাধ্যমে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে অনুমতি দেয়া হোক। তবে যারা আইন অমান্য করে হেলমেট, লাইসেন্স ও সেফটি গার্ড ব্যবহার করবে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক।’
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের নিকট স্বারকলিপি দেন মানববন্ধনে অংশ নেয়া বাইকচালকরা।
নির্দেশনা অনুযায়ী, ঈদের আগে তিন দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরে তিন দিন অর্থাৎ মোট সাত দিন এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া যাবে না। একই সঙ্গে মহাসড়কে রাইড শেয়ারিং করা যাবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নুরি।
৭ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এই নির্দেশনা।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন করছেন বাইকাররা।
পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতির দাবিতে বুধবার দুপুরেও পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে টোল প্লাজার সামনে মানববন্ধন করেছে শরীয়তপুর বাইকারস নামের একটি সংগঠন।
মানববন্ধন থেকে ঈদের আগে পদ্মা সেতুসহ সব মহাসড়কে বাইক চলাচলের অনুমতির দাবি জানানো হয়।
বাইক নেয়া যাবে না নৌপথেও
মহাসড়কে বাইক চালানোর দাবিতে মানববন্ধন করলেও এরই মধ্যে দুই চাকার যানটি বহন নিষিদ্ধ হয়েছে নৌপথেও।
এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়ে গেছে। আগামী ১১ দিন এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। অর্থাৎ ঈদের পর আরও পাঁচ দিন লঞ্চে বা ফেরিতে করে বাইক পরিবহন করা যাবে না।
সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল গত ১২ জুন। আর সেটি কার্যকর হয়েছে ২৪ দিন পর।