দিনাজপুরে তেলবাহী লরির ধাক্কায় মা ও বোনের মৃত্যুর পর ১৮ মাসের শিশুটিও মারা গেছে।
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান আসাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে বুধবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে লরির ধাক্কায় মারা যান শিশু সাইফুলের মা ৩০ বছর বয়সী ফাইমা বেগম ও বোন ১৩ বছরের বিউটি।
গুরুতর আহত হন বাবা ৪০ বছর বয়সী মোহাম্মদ হোসাইন ও ১৮ মাস বয়সী শিশু সাইফুল ইসলাম নাসরুল্লাহ।
আহত মোহাম্মদ হোসাইন জেলার বিরল উপজেলার তেঘরা দারুল হাদীস সালাফিয়্যাহ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার পাঁচটিকরি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। পরিবার নিয়ে তেঘরা গ্রামে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিলেন তিনি।
হোসাইনের ভাই মোহাম্মদ হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুপুরে যখন আমরা ভাবি ও ভাতিজির মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে তুলছিলাম, সে সময় শিশু সাইফুল মারা যায়। ভাই এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’
পরিদর্শক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘ঈদের ছুটি পাওয়ায় ভোরে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে পেছন থেকে তেলবাহী একটি লরি মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়।
‘এতে রাস্তায় পড়ে মা ও মেয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় মোহাম্মদ হোসাইন ও শিশু ছেলে সাইফুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুর মৃত্যু হয়।’
এই ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।