নওগাঁর সদরে ট্রাকের চাপায় চার শিক্ষকসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহতের ঘটনায় ট্রাকচালকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
চালক রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি বুধবার দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করেন র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরীয়ার।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মান্দা উপজেলার সাবাইহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কর্নেল রিয়াজ শাহরীয়ার বলেন, নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের বাবলাতলী মোড় এলাকার ওই দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষকদের পরিবারের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা মামলা করা হয়। সবগুলো মামলায় মূল আসামি করা হয় রেজাউলকে। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে তার বাড়ির পাশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রেজাউল বেপরোয়া গতিতে ট্রাক চালানোর কথা শিকার করেছেন বলে দাবি এই র্যাব কর্মকর্তার।
গত ২৪ জুন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের বাবলাতলী এলাকায় যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে চাপা দেয় ট্রাকটি। এ ঘটনায় ঘটনায় ৪ শিক্ষকসহ ৫ জন নিহত হন।
নিহতরা হলেন, নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার নেহেন্দা গ্রামের ও পানিহারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন, বিজলী গ্রামের বেলকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুকবুল হোসেন, ভাদুরন্দ গ্রামের গোলাম নবীর স্ত্রী গুটিসর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জান্নাতুন খাতুন।
এ ছাড়া গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দুলালপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে ও আমকুড়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক লেলিন সরদার এবং সদরডাঙ্গা গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে অটোরিকশার চালক সেলিম হোসেন সেদিন নিহত হয়।
এ ঘটনায় আহত হন নিয়ামতপুর উপজেলার কুড়িদহ গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে ও কুড়িদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নূরজাহান বেগম।