বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএম ডিপোতে আরও দেহাবশেষ 

  •    
  • ৬ জুলাই, ২০২২ ১৬:২৫

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বনিক বলেন, ‘সকালে শ্রমিকরা শেড পরিষ্কার করতে গিয়ে দেহাবশেষ দেখে আমাদের জানায়। আমরা পৌনে ২টার দিকে এগুলো উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। দেহাবশেষ বলতে কিছু হাড়গোড় পাওয়া গেছে। দেখে মনে হচ্ছে মাথার খুলি ও বুকের দিকের হাড়।’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে আরও দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ডিপোর টিনের শেড পরিষ্কারের সময় বুধবার সকালে শ্রমিকরা দেহাবশেষ দেখতে পায়। দুপুরে এগুলো উদ্ধার করা হয়।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বনিক নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সকালে শ্রমিকরা শেড পরিষ্কার করতে গিয়ে দেহাবশেষ দেখে আমাদের জানায়। আমরা পৌনে ২টার দিকে এগুলো উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। দেহাবশেষ বলতে কিছু হাড়গোড় পাওয়া গেছে। দেখে মনে হচ্ছে মাথার খুলি ও বুকের দিকের হাড়।

‘আপাতত এই দেহাবশেষ ও এর আগের দেহাবশেষকে একটি দেহ ধরেই হিসাব করছি। সেই হিসাবে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১।’

এর আগে সোমবার বিকেলে ডিপোর টিনশেডের নিচ থেকে আগুন ও বিস্ফোরণের এক মাস পর কিছু দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান, ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া ওই দেহাবশেষ ঠিক কতজনের তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। হিসাবের সুবিধার্থে পুলিশ দেহাবশেষগুলো একজনের হিসেবে ধরছে।

নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিএম কনটেইনার ডিপো সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি এলাকায়। বাংলাদেশে এর মালিকানা স্মার্ট গ্রুপের। গ্রুপের চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমানই ডিপোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক৷ পরিচালক হিসেবে রয়েছেন তার ছোট ভাই মুজিবুর রহমান।

এই ডিপোতে ৪ জুন রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে। রাত ১১টার দিকে প্রথম বড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই বিস্ফোরণেই মূলত হতাহতের ঘটনা ঘটে।

একে একে ছুটে যায় চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট। নোয়াখালী এবং লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে যোগ দেয় কয়েকটি ইউনিট। ৫ জুন সকাল পর্যন্ত আগুন নেভাতে আসা ইউনিটের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৫টি। কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় বিস্ফোরণে বাড়ে আগুনের ভয়াবহতা।

৮৭ ঘণ্টা পর ৮ জুন দুপুরে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন নেভে।

ঘটনার প্রথম দুই দিনে ৪১টি মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৪ জন। উদ্ধার করা দেহাবশেষ মিলিয়ে ১৩ জুন পর্যন্ত ৪৯ জনের প্রাণহানির কথা নিশ্চিত করা হয়। এরপর সোমবার ও বুধবার পাওয়া যায় আরও কিছু দেহাবশেষ।

এ বিভাগের আরো খবর