বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাতক্ষীরায় কোরবানির পশু চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৬ জুলাই, ২০২২ ১৩:০১

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু যাতে প্রবেশ না করে সে বিষয়ে বিজিবিকে কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া কোনো অস্বাভাবিক কিছু যাতে না ঘটে, সে লক্ষ্যে প্রতিটা পশু হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করছে।’

সাতক্ষীরায় চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণ কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

সাতক্ষীরা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলায় কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ধরা হয়েছে ৬০ হাজার ৯০৭টি। আর কোরবানির জন্য মোট পশু মজুত রয়েছে এক লাখ ৮০০৫টি, যা চাহিদার চেয়ে ৪৭ হাজার ৯৮টি পশু বেশি।

জেলার সাতটি উপজেলার নয় হাজার ৯৩০টি খামারসহ পারিবারিকভাবে এসব পশু লালন পালন করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু ২৮ হাজার ৮০৩টি, ছাগল ৭৪ হাজার ৪৯৯টি, ভেড়া ৩৭০৭টি ও মহিষ রয়েছে ৯৯৬টি।

জেলার মজুদ করা পশু সাতক্ষীরার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলার চাহিদা মেটাতেও সক্ষম বলে জানিয়েছে অধিদপ্তরটি।

তবে এ বিষয়ে খামারিরা বলছেন ভিন্ন কথা।

তারা জানান, গত দুই বছর করোনার কারণে ঠিকঠাক কোরবানির বাজার বসেনি। এতে বাধ্য হয়ে কম দামে পশু বিক্রি করে লোকসান গুনতে হয়েছে খামারিদের। এ ছাড়াও গোখাদ্যের দাম তুলনামূলক দ্বিগুণ। দেশের উত্তর, পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে বন্যাদুর্গত এলাকার অনেক খামারি গো-খাদ্য ও শুকনো জায়গার অভাবে লোকসান দিয়ে গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন। এ কারণে বাইরের পশু বেপারিরা সাতক্ষীরার স্থানীয় হাটবাজারগুলোতে না আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবিএম আব্দুর রউফ বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণ পশু সাতক্ষীরায় রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সাতক্ষীরা জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৪৮ হাজার পশু থাকবে, যা পাশ্ববর্তী জেলাগুলোর চাহিদা মেটাতে পারবে। তবে গোখাদ্যের দাম গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি, তাই বাধ্য হয়ে তুলনামূলক কম দামে পশু বিক্রি করছে খামারিরা।’

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু যাতে প্রবেশ না করে সে বিষয়ে বিজিবি কে কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া কোনো প্রকার অস্বাভাবিক কিছু যাতে না ঘটে, সে লক্ষ্যে প্রতিটা পশু হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্রেতা-বিক্রেতা যদি বড় লেনদেনে অর্থ বহনে অনিরাপদ মনে করে সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর