ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে কমলাপুর স্টেশন থেকে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো হাজারো মানুষ।
চলতি সপ্তাহজুড়ে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকা নগরবাসীর মাঝে স্বস্তি এনে দিয়েছে সকালের বৃষ্টি। এর প্রভাব পড়েছে কমলাপুরে ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের মাঝেও। কেউ কেউ বলেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে সিট না পেলেও বৃষ্টির ফলে গরম কমায় তাদের যাত্রা আরামদায়ক হতে পারে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশায় চেপে সকালে স্টেশনে পৌঁছেছেন অনেকে। তবে খুব বেশি ভিড় দেখা যায়নি স্টেশনে। স্বস্তিতে আর নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারবে- এমন আশায় খুশি যাত্রীরা। স্টেশন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
প্রথম দিনে ৪টি ট্রেন কিছুটা বিলম্বে ছাড়লেও আজ একটি ছাড়া এখন পর্যন্ত প্রায় সব ট্রেন সময়মতো ছেড়ে গেছে, তবে রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রার সময় ৫০ মিনিট বাড়ানো হয়েছে।
ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে কমলাপুর স্টেশনে খুব বেশি ভিড় দেখা যায়নি। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
বুধবার ৯টার কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত স্টেশন ছেড়ে গেছে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম অভিমুখী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, নীলসাগর, মহানগর প্রভাতি ও তিস্তা এক্সপ্রেস। ছাড়ার অপেক্ষায় ছিল সুন্দরবন এক্সপ্রেস, মহুয়া কমিউটার ও কর্ণফুলী কমিউটার।
সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের যাত্রী মামুন হোসেন বলেন, ‘গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। বাসাবো থাকি। বাসার গলি থেকেই সিএনজিতে (সিএনজিচালিত অটোরিকশা) চেপে স্টেশনে পৌঁছেছি। স্টেশনে খুব বেশি ভিড় নেই। আরামে যেতে পারব মনে হচ্ছে।’
সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী ইকরাম বলেন, ‘কাছাকাছি থাকি, তাই স্টেশনে আসতে সমস্যা হয়নি। ট্রেনগুলো সময়মতো ছেড়ে যাচ্ছে, আশা করি যাত্রা ভালোই হবে।’
আরেক যাত্রী মাহার আলী বলেন, ‘যুদ্ধ করে টিকিট কেটেছি বলা চলে। স্টেশনে অতিরিক্ত ভিড় হবে বলে চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু তেমনটি দেখতে পাচ্ছি না। এখন পর্যন্ত সব ট্রেন তো সময় মতোই ছেড়ে গেছে। আশা করি নিরাপদে সময়মতো বাড়ি ফিরব।’
এবার শুক্রবার (১ জুলাই) থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। ১ জুলাই দেয়া হয় রেলের ৫ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট, ২ জুলাই দেয়া হয় ৬ জুলাইয়ের টিকিট, ৩ জুলাই দেয়া হয় ৭ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট, ৪ জুলাই দেয়া হয় ৮ জুলাইয়ের টিকিট এবং ৫ জুলাই দেয়া হয় ৯ জুলাইয়ের টিকিট।
এ ছাড়া ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) থেকে। ওই দিন ১১ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে। ৮ জুলাই ১২ জুলাইয়ের টিকিট, ৯ জুলাই দেয়া হবে ১৩ জুলাইয়ের টিকিট আর ১১ জুলাই বিক্রি হবে ১৪ এবং ১৫ জুলাইয়ের টিকিট।
এর মধ্যে ১০ জুলাই ঈদ হলে ১১ জুলাই সীমিত কয়েকটি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করবে। তবে ১২ জুলাই থেকে সব ট্রেন চলাচল করবে।