সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বাঁকড়া সেতু ভেঙে পড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দুটি এলাকা। মঙ্গলবার সেতুটির মাঝখানের অংশ ভেঙে অর্ধেটা দেবে যায়। এতে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। ভোগান্তিতে পড়েছে সেতু দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ৫৪ লাখ ৪ হাজার ৬৫০ টাকা ব্যয় বরাদ্দে ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট প্রস্থে বক্স টাইপের সেতুটি নির্মাণ করে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পাইকগাছার মেসার্স জি এম হাসিব ট্রেডার্স কাজটি বাস্তবায়ন করে।
স্থানীয় আব্দুল হামিদ গাজী বলেন, ‘সেতুটি নির্মাণ হয়েছে মাত্র ৫ বছর আগে। অথচ এরই মধ্যে সেতুটি ধসে পড়ল। এখন আমাদের ৫-৬ কিলোমিটার ঘুরে শোভনালী সেতু হয়ে যাতায়াত করতে হবে।’
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুর গফ্ফার সরদার বলেন, ‘এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। দুই এলাকার যোগাযোগের জন্য সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেতুটি ভেঙে পড়ায় এখন এসব এলাকার মানুষকে অনেকটা ঘুরে শোভনালী সেতু হয়ে যাতায়াত করতে হবে। অথচ সেতুটি ভেঙে পড়ার পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা এটি দেখতেও আসেননি।’
শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পলি পড়ে নদী ভরাট হয়ে গেলে খেয়া পারাপারসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই সেতু নির্মাণ করা হয়।
‘পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্প্রতি নদীটিতে খননকাজ করেছে। খননের সময় এক্সকাভেটর দিয়ে সেতুর পাশ থেকেও মাটি কেটে তোলা হয়েছে। এতে সেতুর অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সেটি ভেঙে পড়েছে।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।