নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ৭২ বছরের এক বৃদ্ধের পায়ুপথে টর্চ লাইট ঢুকিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় চর ওয়াপদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের থানার হাট বাজারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়।
মানবন্ধন থেকে চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান ভূইঁয়া ছাড়াও নির্যাতনকারী ইউপি সদস্য তানভীর হোসেন, তার ভাই দিদার, মূল হোতা শাহনেওয়াজ, আব্দুল গণি, আব্দুল, খোকন, যুবলীগের ইউনিয়ন সভাপতি দুলাল উদ্দিন কিরনকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করা হয়।
এ সময় ভুক্তভোগী শেখ নাছির উদ্দিন মাইজভান্ডারী ছেলে ইউপি সদস্য শেখ রিপন চৌধুরী জানান, তারা বাবা একটি মাদ্রাসা ও মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করার সময় চেয়ারম্যান সহ অভিযুক্তরা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিয়ে নাছির উদ্দিন থানায় মামলা করায় আসামিরা গত শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে এবং চোখ বেঁধে পায়ুপথে টর্চ লাইট ঢুকিয়ে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী আহত অবস্থায় নাছির উদ্দিনকে নোয়াখালী জেনারেল হসপিটালে নিয়ে গেলে গত শনিবার অস্ত্রোপচার করে টর্চ লাইটটি বের করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে চর ওয়াপদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে তা ন্যাক্কারজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমার ইউনিয়নে এ ধরণের অমানবিক কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি।’
ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি তো এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। আমাকে হেয় করার জন্য এবং আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য হিংসার বশবর্তী হয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব কর্মকাণ্ড করা হচ্ছে।’
চর জাব্বার থানার ওসি দেবপ্রিয় দাশ জানান, সোমবার গভীর রাতে অভিযুক্ত গণিকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি চর ওয়াপদা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আবুল হোসেন সানাজকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।