ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার সময় নদীতে ডুবে প্রাণ হারানো দুই শিশুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
মরদেহ উদ্ধারের দুই দিন পর মঙ্গলবার রাতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলো।
উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর সীমান্তে আন্তর্জাতিক পিলার ৯৪২ এর সাব পিলার ৮ এসের পাশে বিএসএফ-বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পতাকা বৈঠকে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া হয়।
বিজিবির লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধীন কাশিপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ফরিদ উদ্দিন জানান, গত ৩ জুলাই দুপুর দেড়টার দিকে একই ইউনিয়নের পশ্চিম ধর্মপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৯৪৩ এর মাত্র ৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে নীলকমল নদীতে দুই শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে ১৯২ ব্যাটালিয়ন সেওটি-১ ক্যাম্পের বিএসএফ এবং সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ।
গত ১ জুলাই শুক্রবার রাতে ভারতীয় কয়েকজন দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারত থেকে ঈদ করার জন্য বাংলাদেশে অবৈধভাবে ভারত থেকে ঈদ করার জন্য বাংলাদেশে আসার সময় নীলকমল নদী দিয়ে সাঁতার কেটে বাবা-মার সঙ্গে পার হচ্ছিল ওই দুই শিশু।
স্রোতের টানে মা ছামিনা বেগমের হাত থেকে ফসকে হারিয়ে যায় ৮ বছরের পারভীন খাতুন ও ৪ বছরের শাকিবুল হাসান।
বিজিবি কর্মকর্তা জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর শিশু দুটির পক্ষে কোনো ওয়ারিশ না থাকায় মরদেহ দুটি নিয়ে যায় বিএসএফ ও পুলিশ।
পরে ওই দিন সন্তানের মরদেহ ফেরত চেয়ে লালমনিহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের কাশিপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডারের কাছে আবেদন করেন বাবা রইচ উদ্দিন। পরে বিজিবি-বিএসএফের আলোচনার মাধ্যমে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফুলবাড়ী উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ধর্মপুর সীমান্তে শিশুদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিএসএফের পক্ষে ১৯২ ব্যাটালিয়নের সেওটি-১, সেউটি-২ ক্যাম্পের বিএসএফ, সাহেবগঞ্জ থানা পুলিশ এবং বিজিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন লালমনিহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের কাশিপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ফরিদ উদ্দিনসহ কুড়িগ্রাম পুলিশের এএসপি সুমন রেজা, ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান।
রইচ উদ্দিনের মামা সাইফুর বলেন, ‘রাতেই শিশুদের মরদেহ দাফন করা হবে।’