সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী গোপন বৈঠক করার অভিযোগে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ১২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বরিশাল মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. মনিরুজ্জামান মঙ্গলবার দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠান।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৌরনদী থানা পুলিশের পরিদর্শক মো. হেলালউদ্দিন।
উপজেলার বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলামের বাসা থেকে সোমবার রাত ৯টার দিকে তাদের আটক করা হয়।
তারা হলেন, বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল গাজী, ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মন্টু খান, বার্থী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সহসম্পাদক কাইয়ুম খান, ইউনিয়ন যুবদল কর্মী এনায়েত হোসেন, জাফর খান, সাইফুল ইসলাম, রেজাউল মোল্লা, সামিউল বেপারী, ইউনিয়ন ছাত্রদল কর্মী আকাশ খন্দকার, মুন্না আহম্মেদ ও ইখতিয়ার তালুকদার।
তাদের বিরুদ্ধে গৌরনদী মডেল থানার এসআই আব্দুল হক বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
থানায় বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘বাবার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় কর্মীদের নিয়ে পরামর্শ করছিলাম। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন প্যাদার নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন বাড়িতে হামলা চালায়। পরে ১২ জনকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিয়েছে।’
বার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন প্যাদা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’