ছয় মাস চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরার আট দিন পর আবার চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড গেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ।
মঙ্গলবার দুপুরে থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে রাহ্গির আল মাহি সাদ এরশাদ ও পরিবারের সদস্যরা।
রওশনের সহকারী একান্ত সচিব মামুন হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ম্যাডাম (রওশন এরশাদ) এবার রুটিন চেকাপের জন্য গিয়েছেন। তবে কবে ফিরবেন সেটা বলতে পারি না।’
বিমানবন্দরে বিরোধীদলীয় নেতাকে বিদায় জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এ সময় মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো- চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙা, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, সাহিদুর রহমান টেপা, ফখরুল ইমাম, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, নাসরিন জাহান রতনা, নাজমা আক্তারসহ জাতীয় পার্টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ৫ নভেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ব্যাংকক নিয়ে যাওয়া হয় রওশনকে। তিনি থাইল্যান্ডের ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ফুসফুসের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
গত ২৭ জুন দেশে ফেরেন জাপা নেত্রী। বাজেট অধিবেশনেও যোগ দেন তিনি। গত শনিবার জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে রাজধানীর একটি হোটেলে মতবিনিময় সভায়ও অংশ নেন। সেই সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, থাইল্যান্ডে চিকিৎসার সময় দলের কেউ তার খোঁজ নেয়নি।
অথচ যাদের দল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে, তারাই নিয়মিত খোঁজ রেখেছেন। মসজিদ, মাজারসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।