রাজশাহী নগরীতে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা মামলার এক আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মহানগর হাকিম আদালত-১-এর বিচারক রেজাউল করিমের আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার দুপুরে আনিম ওরফে আনিন ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়।
২২ বছর বয়সী আনিমের বাড়ি নগরীর বোয়ালিয়া থানার মিরের চক সাধুর মোড়ে।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল আলম জানান, রোববার রাতে হেতেমখাঁ এলাকায় ১৭ বছরের মো. সনি হত্যার ঘটনায় সোমবার বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন সনির বাবা রফিকুল ইসলাম পাখি।
নয়জনের নামে ও অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে তিনি এই মামলা করেন। মামলার পর সোমবার রাত ১টার দিকে বালিয়াপুকুর এলাকা থেকে আনিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
- আরও পড়ুন: জন্মদিনে কিশোর খুন, মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আবুল হাশেম জানান, দুপুরের পর আনিমকে আদালতে তোলা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আনিমকে রিমান্ডে নেয়ার জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে।
অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল বলেন, ‘এই হত্যার পেছনে কিশোরদের দুটি গ্যাংয়ের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। নিহত সনির নামে মারামারির দুটি মামলা আছে। এগুলো চলতি বছরের ঘটনা।
‘আসামিদের বিষয়েও খোঁজ নেয়া হচ্ছে। দুই গ্রুপের মধ্যে প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধ ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। শিগগিরই সব আসামি ধরা পড়বে।’
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে রোববার রাত ৯টার দিকে তৈয়বুর ও সনিকে তুলে নিয়ে যান কয়েকজন যুবক। হেতেমখাঁ এলাকায় তারা দুজনকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক সনিকে মৃত ঘোষণা করেন।